শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩ দিনে হজের নিবন্ধন করেছেন ৮২৪ জন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

২০২৪ সাল বা ১৪৪৫ হিজরিতে পবিত্র হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য গত ১৫ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই ১৩ দিনে নিবন্ধন করেছে  মাত্র ৮২৪ জন। হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে হজ এজেন্সিগুলো। তবে শেষ সময়ে বেশি সাড়া মিলবে বলে আশা করছে তারা।

হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) নেতারা বলছেন, গত বছর নয় দফা সময় বাড়িয়েও বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা পূরণ করা যায়নি। এবারও সেই অবস্থা হতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। এ জন্য হজের খরচ বেড়ে যাওয়া, ডলার ও রিয়ালের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়াকে দায়ী করছেন তারা। একইসঙ্গে, সৌদি সরকার ওমরাহ প্রক্রিয়া সহজ করায় অনেকে হজের পরিবর্তে ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন। আর করোনার সময় যেসব হাজী আটকে ছিলেন তারাও গত দুই বছরের হজ করে ফেলেছেন। ফলে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না। 

হজযাত্রীদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ১৩ দিনে হজের জন্য নিবন্ধন করেছে মাত্র ৮২৪ জন। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ২৯৬ জন আর বেসরকারি পর্যায়ে ৫২৮ জন। গত বছর নিবন্ধন শুরুর প্রথম ২১ দিনেই ৩৩ হাজার ৭৮ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছিলেন। সেবার ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলে। তবে, দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও ৫ হাজার আসন শূন্য ছিল।

এবার সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হবে। বিশেষ হজ প্যাকেজের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হাব। প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। 

২০২৩ সালে হজের নিবন্ধন শুরু হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২১ দিনে মোট নিবন্ধন করেছিলেন ৩৩ হাজার ৭৮ জন। এতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছিলেন ৭ হাজার ৪২০ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছিলেন ২৫ হাজার ৬৫৮ জন। নিবন্ধন শুরুর প্রথম ২১ দিনে ২৬ শতাংশ কোটা পূরণ হয়েছিল। গতবারের হজের চুক্তির কোটা অনুযায়ী আসন ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।

এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অধিশাখার যুগ্ম সচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, আমরা অন্যান্যবারের তুলনায় এবার হজের নিবন্ধন অনেক আগ থেকে শুরু করেছি। নিবন্ধনের সংখ্যা নিয়ে এখনো চিন্তিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আশা করি যথাসময়ে কোটা পূরণ হয়ে যাবে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ