শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সংবাদ সম্মেলনে চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে যা বললেন চরমোনাই পীর

শাখাওয়াত মুকুল
শাখাওয়াত মুকুল
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিলসহ ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপনও করা হয়।

চরমোনাই পীর বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে অনতিবিলম্বে চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলের সব নেতাকর্মী এবং আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করতে হবে। দলীয় এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করতে হবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আগে কোনো অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।

চার দফা কর্মসূচি:

নির্বাচন কমিশন একতরফা তপশিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।

তফশিল ঘোষণার পর দিন সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।

জাতীয় সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিকে নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলো ইসলামী আন্দোলন। এই দাবি মানা না হলে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণার কথা জানানো হয়।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ