মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১১ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :

প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ডাকা সমাবেশ ও পরবর্তী সময়ে ঘটা প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮ অক্টোবর আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা পুলিশ বাহিনীর মতো মাঠে দায়িত্ব পালন করেন। আপনারা নিজের জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করেন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের মতো তারাও আক্রমণের শিকার হয়েছেন। দুষ্কৃতিকারীরা চায় না তারা যে ছবি, তথ্য সংগ্রহ করেছেন, যেগুলো তাদের বিপক্ষে যায়... এ আশঙ্কায় তারা সাংবাদিক বন্ধুদের উপরও আক্রমণ করেছে। আমরা প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টার নির্বাচনের আগে কী পরিকল্পনা ছিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে যাদের জড়িত পাচ্ছি তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। গোয়েন্দা তথ্য যেগুলো পাচ্ছি তা বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য বলছি না। কিন্তু সব কিছু বিবেচনায় রেখে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের একজন পুলিশ সদস্যকে মাথায় কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের বেশকিছু পুলিশ ও আনসারের সদস্য হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। একজন সদস্যকে দেখলাম কী হবে জানি না। আমরা চেষ্টায় আছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টায় আছি। আশা খুব একটা আছে কিনা আমি জানি না। এখানকার চিকিৎসকরা যেভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিচ্ছেন তাই আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

তিনি বলেন, গতকালও আমাদের নারায়ণগঞ্জের আহত এক পুলিশ সদস্য এখানে ভর্তি আছে। একজন আনসার সদস্য মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে কাতরাচ্ছে। তাদেরকে বলেছি এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা যা নেওয়ার আমরা তা নেওয়া হবে।

২৮ অক্টোবর যেই নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে সেই নৈরাজ্যের পিছনে ক্ষমতাসীনদের যোগসাজশ রয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। পুলিশের তদন্তে এমন কিছু পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আপনারা নিজেরাই দেখেছেন আমরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। আমাদের ওপর কীভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশটি যেন সম্পন্ন হয় আমরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমরা আক্রান্ত হওয়ার পরও যখন মাননীয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়, বিচারপতিদের বাসায় যখন হামলা হয় তখন আমরা তাদের নেতা কর্মীদের খবর দিয়েছি যেন তারা শান্ত হয়, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে। তারা সেটাতো করেইনি বরং আক্রমণের মাত্রা আরও বেড়েছে। আমাদের একজন সদস্য মারা গিয়েছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে।

২৮ অক্টোবর পুলিশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল কিনা এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তার অবনতি হলে পুলিশের প্রস্তুতি কী এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না। ঘাটতি ছিল না বলেই আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। যখন তারা উশৃংখল আচরণ শুরু করেছে বুঝিয়ে শুনিয়ে চেয়েছি তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে। প্রথমে তারা হঠাৎ করে একটি বাসে আগুন দিয়েছে। এরপর কিছু মানুষ গাড়ি নিয়ে আসছিল তাদের উপর আক্রমণ করেছে। সেদিন তো কোনো অনুরোধ কর্মসূচি ছিল না। রাস্তা বন্ধ থাকবে তেমন কোন কর্মসূচি ছিল না। তারপরে তারা আমাদের লোকদেরকে সাধারণ মানুষদেরকে আক্রমণ করেছে। গাড়িতে আগুন জ্বালিয়েছে। গাড়িতে যখন আগুন জ্বালায় তখন পুলিশের দায়িত্ব কি? সরকারি ও ব্যক্তিগত জানমালের যখন ক্ষতি হয় তখন সেটি প্রতিহত করা এবং ব্যবস্থা নেওয়া সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করেছি এবং আনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেটুকু ব্যবস্থা নেওয়া ও শক্তি প্রয়োগ করার দরকার সেটুকু করেছি তার অতিরিক্ত আমরা করিনি।

অবরোধের সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে ইইজিপি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কর্মসূচি পালন করার অধিকার আছে কিন্তু একজন মানুষের অধিকার আছে তার রাস্তায় চলাফেরা করার। এটাকে যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সে ব্যবস্থা আমরা নিতে যাচ্ছি।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ