সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা কমাতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং পৌরসভাকে লম্বা পরিকল্পনা নিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনকে এই প্রশ্নটি করলে সেটা যৌক্তিক হতো। অবহেলা থাকলে সেটা যারা মশা নিধন করেন, যারা ময়লা ও ড্রেন সাফ করেন এবং যারা ময়লা গাড়িতে করে নিয়ে যান তাদের আছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব এটা নয়, কাজেই এ প্রশ্ন স্বাস্থ্যবিভাগে করবেন না। আমাদের প্রশ্ন করবেন, চিকিৎসায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিংবা চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি আছে কি না? এ প্রশ্ন আমাদের করতে পারেন।

 ‘চিকিৎসার বিষয়ে বলতে পারি, এখানে কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট শয্যা রয়েছে। কেবল ঢাকায় নয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও ডেঙ্গুর জন্য আলাদা শয্যা তৈরি করেছি। সব জায়গায় যাতে যথেষ্ট পরিমাণ ফ্লুইড, মানে স্যালাইন থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা নিজেরা স্যালাইন আমদানি করেছি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রায় ৫০ লাখ প্যাকেট স্যালাইন তৈরি করে। স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমার অনুরোধ, যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন, তারা সময়মতো পরীক্ষা করে নেবেন, তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসবেন, চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবেন। দেরি করে এলে আর কিছু করার থাকে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের একটা লম্বা অর্থাৎ সারা বছরের পরিকল্পনা থাকতে হবে। আমি যখন মানিকগঞ্জে গেলাম, সেখানে দেখলাম ৫০০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে। আগে পাঁচটা রোগীও ছিল না। এত রোগী কোথা থেকে এসেছে? আশপাশের জেলা থেকে এসেছে। সেখানে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে, সেখানে ড্রেন আছে, ময়লা পড়ে আছে। এগুলো যদি সাফসুতরো কিংবা ওষুধ ব্যবহার করা না হয়, তাহলে তো ডেঙ্গু কমবে না।’

তিনি বলেন, ‘বড় বড় কথা বললে তো আর ডেঙ্গু কমবে না। ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। যদি পর্যাপ্ত থাকত তাহলে আড়াই লাখ লোক এ রোগে আক্রান্ত হতো না। এখন পর্যন্ত এক হাজার ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। কাজেই এটা বড় সংখ্যা, আমরা খুবই দুঃখিত। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে পরামর্শ দেওয়ার, কিংবা চিকিৎসা দেওয়ার, সেটা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে গিয়ে বলা দরকার বা যাদের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; সেখানে গিয়ে বলবেন। তারা কী পরিকল্পনা নিয়েছে? বছরব্যাপী পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। কেবল ঢাকা নয়, সারাদেশে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। তবেই ডেঙ্গু কমবে। তাছাড়া ডেঙ্গু কমবে না।’

টিএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ