শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩০ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

ভিসানীতি নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ভয়ভীতি থাকতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকারি কর্মচারী এবং সমাজের উঁচুস্তরের মানুষের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিষয়ে ভয়-ভীতি থাকতে পারে।

সম্প্রতি মার্কিন ভিসানীতিসহ বর্তমান রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন মোমেন। এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটা ভয়-ভীতি থাকতে পারে, কিংবা এ ধরনের যারা সমাজের উঁচুস্তরের মানুষ আছেন তাদের মধ্যে থাকতে পারে। কারণ তাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকে। ওনারা অনেকে ঘুস-টুস খেয়ে দুর্নীতি করে বিদেশে বাড়ি-ঘর করেছেন। ওনাদের একটা ভয় থাকতে পারে যে ওনাদের যদি ভিসা না দেয় তাহলে বাড়ি-ঘরটা দেখভাল করবেন কীভাবে।’

মার্কিন ভিসানীতিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মাতামাতি বেশি। এর একটি কারণ আমাদের সংবাদ মাধ্যম। কারণ আমাদের সংবাদ মাধ্যম বিদেশিদের বক্তব্য শুনলেই লাফিয়ে ওঠে। বিদেশে যখন ইলেকশন হয়, আমেরিকায় যখন ইলেকশন হয় কোনো বিদেশি সাংবাদিক তাদের খবরও দেয় না। আর বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূত কিংবা বিদেশি সম্মানিত নোবেল লরিয়েটের আমেরিকার ইলেকশন নিয়ে কথা বলার সাহস নেই। কারণ মিডিয়া এটা ফলাও করে বলবে না। এখানে এটা একটা মজা, বিদেশিরা কিছু বললেই আপনারা (মিডিয়া) ফলাও করে বলেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাইরের লোকের এই যে চাপ আপনারা তৈরি করেন, আমরা কোনো প্রেশার ফিল করি না। কারণ আমরা সৎ পথে আছি, স্বচ্ছ পথে আছি। ভিসানীতি আমাদের জন্য অপ্রাসঙ্গিক। ভিসানীতি সব দেশেরই আছে। সে যাকে ইচ্ছা তাকেই ভিসা দেয়। আর হঠাৎ করে তারা একটা ঘোষণা করল, এটা আমাদের জন্য অপ্রাসঙ্গিক। এটা করেছে কারণ আমাদের দেশের অনেক সংখ্যক সরকারি কর্মচারী বড় বড় ব্যাংকের মালিক কিংবা ব্যাংকে চাকরি করেন, এমডি-সিইও যারা আছেন এবং যারা সিভিল সোসাইটির নেতা, আমাদের দেশে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সিভিল সোসাইটির অনেক নেতা বিদেশি পয়সায় চলেন। ওরা টাকা দেয়, কীভাবে ওনারা খরচ করেন আমরা কিছুই জানি না।’

টিএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ