বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে ইতিবাচক সাড়া মিলবে- এমনটাই আশা করছেন পরিবারের সদস্যরা। এ জন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হাসপাতালের খোঁজ করছেন তারা।
পরিবারের সূত্র শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সরকার যদি অনুমতি দেয়, তা হলে দ্রুত যাতে খালেদা জিয়াকে বাইরে নেওয়া যায়, সে জন্যই এ প্রস্তুতি। খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা চার দেশের হাসপাতালে খোঁজ নিচ্ছেন।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনির জটিলতা বেড়েছে। তিনি হাসপাতালে কখনো কিছুটা ভালো থাকছেন, পরক্ষণেই তার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এ কারণে তাকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
এরই মধ্যে গত সোমবার খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সোমবার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি মতামত জানতে চেয়ে খালেদা জিয়ার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনটি অল্পসময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
পরিবারের সদস্যরা আশাবাদী, খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি পাবেন। আর তাই তারা বিশ্বের চার দেশে হাসপাতালের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
পরিবারের এক সদস্য আজ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তারা খোঁজ নিয়েছেন জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে এর উন্নত চিকিৎসা আছে। তাই তারা ওই দেশগুলোয় খালেদা জিয়ার জন্য উপযুক্ত হাসপাতালের সন্ধান করছেন, যাতে তারা অনুমতি পাওয়ামাত্র অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বাইরে নিতে পারেন।
টিএ/