শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩০ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মুন্সিগঞ্জের হযরতপুর দাখিল মাদরাসার এলামনাই এসোসিয়েশন গঠিত রাসূল (সা.)-এর রওজা জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে জাফলংয়ে শ্রমিক জমিয়তের মানববন্ধন নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ইসলামবাগ মাদরাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুল গনী আল গাজীর ইন্তেকাল ‘সংস্কার কার্যক্রমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন থাকতে হবে’ ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসররা এখনো দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: মুফতি ফয়জুল করীম শরীয়তপুরে খানকায়ে হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর ইসলাহী জোর আগামীকাল জুলাই বিপ্লবের শহিদদের রক্তের অমর্যাদা জায়েয নয়: বায়তুল মোকাররমের খতিব রাজধানীর পল্টনে উদ্যোক্তা কনভেনশন ও নাশিদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

মারা গেলেন কম্পিউটারে আরবি ভাষা অন্তর্ভুক্তকারী শায়খ মুহাম্মদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

বিশ্বে প্রথমবার সফটওয়ারের সাহায্যে কম্পিউটারে আরবি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন শায়খ মুহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-শারিখ। এর মাধ্যমে অনলাইনে পবিত্র কুরআনসহ অসংখ্য হাদিসগ্রন্থ সংরক্ষিত হয়।

গত বুধবার (৬ মার্চ) রাতে ৮২ বছর বয়সে ‍কুয়েতে ইন্তেকাল করেন তিনি।

এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে দেশটির সংস্কৃত, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক জাতীয় কাউন্সিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রয়াত শায়খ আল-শারিখ ছিলেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের অন্যতম, যিনি আরবি ভাষা ও সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্যকরণ থেকে সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। তা ছাড়া আশির দশকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কম্পিউটারে আরবি ভাষা চালুর ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। ২০১৮ সালে তিনি কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পুরস্কার এবং ২০২১ সালে ইসলামের সেবার জন্য সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার লাভ করেন।’
আল-শারিখ ১৯৪২ সালে কুয়েতে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬৫ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের উইলিয়ামস কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি কুয়েত উন্নয়ন তহবিলের সহকারী পরিচালক এবং বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। কুয়েত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের প্রধান ছিলেন।

আধুনিক প্রযুক্তিতে আরবি ভাষার সমৃদ্ধি আনতে আল-শারিখ সাখর প্রজেক্ট প্রতিষ্ঠা করেন।

এর মাধ্যমে স্ক্রিন রিডার, মেশিন ট্রান্সলেশন, অটোমেটিক স্পিসসহ আরবি ভাষার উন্নয়নে নানামুখী কাজ করা হয়। এখান থেকে তরুণদের কম্পিউটার প্রগ্রাম ও বিজ্ঞানবিষয়ক অনেক বই প্রকাশিত হয়। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি পবিত্র কুরআন, ৯টি প্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থ ও ইসলাম বিষয়ক তথ্যাবলি কম্পিউটার প্রগ্রামে ডেভেলপ করে।

তিনি ১৯৮২ সাল থেকে কম্পিটার প্রগ্রাম আরবিকরণ, অ্যারাবিক ইলেকট্র্রনিক ডিকশেনারি, প্রুফ রিডার প্রগ্রাম, অটোমেটিক ফর্মাল অ্যারাবিক প্রনানসিয়েশন, মেশিন ট্রান্সলেশন ডেভেলপ করাসহ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ভিশন সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করেন।

সূত্র : আলজাজিরা

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ