শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বৃষ্টি ভেজার দিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

যাকারিয়া মাহমুদ ।। 

বৃষ্টি ভেজার প্রথম দিন । আমি তখন ছোট। নরম গায়ে কোমল বৃষ্টির ছোঁয়া। কোমল সেই অনুভূতি। আমি কখনোই ভুলতে পারিনি। ভুলতে চাইও না। ভালোলাগে সেই স্মৃতি। অনুভূতি। খুব ভালোবাসি সেই দিনটিকে।

সেদিন চারদিকে যখন শীতল হাওয়ার ছড়াছড়ি। মাথার উপর ঘন, কালো, বিস্তৃত মেঘরাশি। ভর-দুপুরেও নেমে এলো সন্ধ্যার আঁধার । আমি তখন আনন্দে আত্মহারা । আম্মার চোখ ফাঁকি দিয়ে ছুটে যাই কড়ইতলায়। আমাদের বাড়ির কাছেই।

কড়ইতলায় বহু মানুষের ভিড়। ছোটদের ছোটাছুটি। এখানে-ওখানে বড়দের গল্পের আসর।

আমি ছুটে চলি ঘাসফড়িং আর প্রজাপতির পিছু পিছু। যখন ওদের ধরতে যাই, ওরা উড়ে যায়। বাতাসে ডানা মেলে। কখনো-বা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আমার হাত ওদের ধরতে পায় না। তবু সুখ খোঁজে পাই সেই পিছু ছোটায়।

ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু। অনেকেই দৌঁড়ে ওঠে ঘরে। ভেজার ইচ্ছে নেই তাদের। আমি ভিজি আপন মনে। আমার সঙ্গে আরও ছেলেমেয়ে। সবাই সমবয়সী। আমরা হাসি, খেলি, ভিজি। সবাই মিলে । একসঙ্গে। বড়রা ভেজে ভিন্ন দলে।

বৃষ্টি পড়ে রিমঝিম। ঝুমূর-ঝুমূর। টিনের চাল গড়িয়ে আসে বৃষ্টির স্বচ্ছ জল। একসঙ্গে অনেকগুলো ঝরনার মতো। আমরা তার নিচে খুশি মনে ভিজি। লাফিয়ে লাফিয়ে। দাঁড়িয়ে। বসে।

কাদামাটিতে পিছলে খাই। একজন "ধপাশ" করে পড়ে গেলে, খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে সবাই। দুষ্টমি করি। কাদা-পানি ছুড়ে দিই একে-অপরের গায়ে। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়। খানিক পরেই মিটে যায় সব রাগ-অভিমান।

এদিকে বূষ্টিতে ভেজার সুখ। ওদিকে ঘরে ফেরার তাড়া। এতক্ষণে নিশ্চই খোঁজে ফিরছেন মা।

পা টিপে টিপে ঘরে ফিরি। বাড়তে থাকে বুকের ধুকপুকানী। কোনোরকমে আম্মার চোখ এড়াতে পারলেই হয়। পারি না । ব্যর্থ হই। দৌড়ে লুকোই আপার পেছনে।

শৈশবে এমন অনেক দিন ছিল। সুখে ভরপুর সেই দিনগুলো, স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে আজও। হৃদয়ে খুব ইচ্ছে জাগে। যদি ফিরে যাওয়া যেত সেই সুখ- শৈশবে!

লেখক : শিক্ষার্থী, মারকাযুল মাআরিফ আল ইসলামিয়া, উত্তর বাড্ডা,ঢাকা-১২১২। 

এমআর/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ