বাইরের ধূলা, ধোঁয়া, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে চুলের ক্ষতি হয়। দূষণের কারণে চুল অনবরত পড়তে থাকে। এমনকি কারো কারো মাথায় নতুন চুল গজায় না। আর তখনই বিপত্তি ঘটে। চুলের ক্ষতি রুখতে ভরসা করতে পারেন আমলকীতে। আমলকীতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ও খনিজ উপাদান। এটি শুধু ত্বক বা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেই নয়, রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর আমলকিতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস।এ উপাদান মাথায় রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। রূপবিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু আমলকী খেলেই নয়, আমলকী ভেজানো পানি ব্যবহার করলে মাথায় দ্রুত নতুন চুল গজাবে। এমনকি পাতলা চুল ঘন হবে।
চুলের বৃদ্ধি
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা কোলাজেন প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে। আমলকি ভেজানো পানি পান করলে শরীর ভালো থাকে, আবার চুলের বৃদ্ধিও ঠিকমতো হয়।
অকালপক্বতা
অনেকেরই কম বয়সে চুল পেকে যায়। এ সমস্যার সমাধানেও আমলকী ভেজানো পানি ব্যবহার করতে পারেন। এ পানিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা চুল ভালো রাখতে এবং পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
প্রদাহ কমায়
মাথার ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ, খুশকির সমস্যা কমাতেও আমলকী ভেজানো পানি বিশেষ কার্যকর। এটি মাথা চুলকানোর সমস্যাও কমতে পারে। এছাড়া আমলকীতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের গুণে চুলের গোড়া মজবুত হয়, রুক্ষ চুলে প্রাণ ফেরে।
কীভাবে তৈরি করবেন
২ কাপ পানিতে একটি আমলকী কুচি কুচি করে কেটে দিন। এ পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে বাদামি রঙের হলে ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে ভরে নিন। সপ্তাহে এক দিন এই পানি মাথার ত্বক থেকে পুরো চুলে ব্যবহার করুন। আমলকী ভেজানো পানি তৈরি করে স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে পারেন। ফ্রিজে এটি সংরক্ষণ করা যায়। এর সঙ্গে পাতিলেবুর রস এবং কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়েও নিতে পারেন।
ব্যবহারের পদ্ধতি
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পর আমলকী পানি ব্যবহার করুন। এ পানি ব্যবহারের পর ২ মিনিট মাথার ত্বকে মালিশ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বক আর্দ্র থাকবে, চুলেও প্রাণ ফিরবে।
এনএ/