ঘন, কালো, মসৃণ ও লম্বা চুল পেতে সবাই পছন্দ করেন। কিন্তু পরিবেশ দূষণ, খাদ্যাভ্যাস, অযত্ন ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ও চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। প্রতিদিন সকালে গোসল করে বাইরে বেরোনোর সময়ও ছড়ানো চুলের গুচ্ছ দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। আর এভাবেই চুলের মোটা গোছা ক্রমশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এর আগে দামি শ্যাম্পু ব্যবহার করেও কোনো উপকার হয়নি। তাই এবার কোমর বেঁধে নেমেছেন। কড়া ওষুধ খেয়েই চুলের পুরনো গোছ ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু ওষুধ আদৌ কাজ করবে তো? ওষুধ খেয়েও সুফল পাননি, এমন উদাহরণ রয়েছে বহু। তাহলে উপায়? রাস্তা একটাই। ওষুধের বদলে খান এমন কিছু খাবার, যেগুলো সত্যিই চুলের গোড়া শক্তিশালী ও মজবুত করে। জেনে নিন তেমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে।
গাজর
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। ফলে গাজর চোখের জন্য খুব ভাল। শুধু চোখ নয়, মাথার তালুর পুষ্টির জন্য আর চুলের গোড়া শক্ত করতেও গাজরের কোনও বিকল্প নেই। রোজ একটি করে কাঁচা গাজর খেতে পারলে ভাল।
মটরশুঁটি
গীষ্মকালে বাজারে মটরশুঁটি পাওয়া দুর্লভ। তবে খুঁজলে পাওয়া যেতেই পারে। চুল পড়ার সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে মটরশুঁটি উপকারী। এতে নানা রকমের ভিটামিনের সঙ্গে আছে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন, জিঙ্কের মতো কিছু খনিজ। এগুলো চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। চুলে পড়ে যাওয়া কমায়।
ওটস
ওটস চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। এতে আয়রন, জিঙ্ক, মিনারেলসের মতো উপাদান তো আছেই, তার সঙ্গে রয়েছে ওমেগা-৩।
এই উপাদান ত্বক এবং চুলের পুষ্টি জোগায়। চুল ঝরার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসে।
চিংড়ি
চুল পড়া কমাতে রেড মিট বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে খেতে পারেন চিংড়ি। তবে চিংড়ি খেলে শুধু যে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে, তা নয়। এর পাশাপাশি চুল পড়ার আশঙ্কাও কমবে।
আমলকির রস
চুলের গোড়া শক্তিশালী ও মজবুত করে তুলতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ আমলকি চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। রোজ একটি করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস চুল ঝরা রোধ করতে দ্রুত সাহায্য করে।
এনএ/