শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩০ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

ডেঙ্গু হলে কী করবেন, কী কী করবেন না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশজুড়ে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যাও। তাই এই সময়ে জ্বর আসলেও মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে জ্বর আসা মানেই কিন্তু ডেঙ্গু নয়। তাই ডেঙ্গু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা দরকার। ডেঙ্গু হলে কী করতে হবে এবং কোন বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে সে বিষয়গুলো বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলছেন, এখন যেহেতু ডেঙ্গুর সময়, সেজন্য জ্বর হল অবহেলা করা উচিত নয়। জ্বরে আক্রান্ত হলেই অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ অধ্যাপক আবদুল্লাহর।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা জ্বরকে অবহেলা করেছেন। জ্বরের সঙ্গে যদি সর্দি- কাশি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা অন্য কোনো বিষয় জড়িত থাকে তাহলে সেটি ডেঙ্গু না হয়ে অন্যকিছু হতে পারে। তবে জ্বর হলেই সচেতন থাকতে হবে।

সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে।

সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে।

ডেঙ্গুর লক্ষণ: সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে কিংবা ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়ার পর আবারও ফিরে আসতে পারে। ডেঙ্গুর কারণে মাথাব্যথাও হয়। পাশাপাশি পেশি, হাড় বা জয়েন্টে ব্যথাও থাকে। এছাড়াও চোখের পেছনে ব্যথা, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং গায়ে লাল রঙের র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।

প্রয়োজন বিশ্রামের: সরকারের কমিউনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল বা সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অন্যতম পরিচালক ড. সানিয়া তাহমিনা বলেন, জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে। তার পরামর্শ- জ্বর নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা উচিত নয়। একজন ব্যক্তি সাধারণত প্রতিদিন যেসব পরিশ্রমের কাজ করে, সেগুলো না করাই ভালো। পরিপূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।

ডেঙ্গু হলে যেসব খাবার খেতে হবে: ডেঙ্গু হলে প্রচুর পরিমাণে তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন- ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ডেঙ্গুতে ভুগলে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন - ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে।

ডেঙ্গুতে ভুগলে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন - ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে।

যেসব ওষুধ এড়িয়ে যেতে হবে: অধ্যাপক তাহমিনা জানান, ডেঙ্গু হলে সব ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম। কিন্তু কোনো ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। 

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে।

ডেঙ্গু হলেই কী হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না। ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ভাগ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- এ, বি এবং সি। প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা নরমাল থাকেন। তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হবার কোনো প্রয়োজন নেই। ‘বি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীদের সবই স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন- পেটে ব্যথা হতে পারে, বমি হতে পারে প্রচুর কিংবা কিছুই খেতে পারছেন না। অনেক সময় দেখা যায়, দুইদিন জ্বরের পরে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হাসপাতাল ভর্তি হওয়াই ভালো। অন্যদিকে, ‘সি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ'র প্রয়োজন হতে পারে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ