বর্ষাকালে ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে ঘরের পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ওঠে। ঘরের ভেতরে উচ্চ আর্দ্রতা তৈরি হয়। এমনকি ঘরের আশপাশে পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণেও ঘর স্যাঁতস্যাঁতে হতে পারে। আর ঘরে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ তৈরি হলে ওয়ারড্রোব, আলমারি, জামাকাপড়সহ সব কিছুতেই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
ঘরের পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে হলে সেই ঘরে বাস করা মুশকিল। পোকামাকড়ের উপদ্রব, দুর্গন্ধ সব মিলিয়ে অত্যন্ত বিরক্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি নিজেদের বাড়ি-ঘরও সংক্রমণ মুক্ত রাখা খুবই জরুরি।
ঘরের এ স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করে ঘরকে সুবাসিত করে তোলা খুব কঠিন কাজ নয়। সেজন্য আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ।
১. সবার প্রথমে ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে দিন। বাড়ির দরজা, জানালা অল্প সময়ের জন্য হলেও খোলা রাখুন। এতে বাতাসের মাধ্যমে ঘরের দুর্গন্ধ ও বের হয়ে যাবে।
১৫ মিনিট দড়িলাফেই কমবে যেসব রোগের ঝুঁকি১৫ মিনিট দড়িলাফেই কমবে যেসব রোগের ঝুঁকি
২. বাড়িতে ফ্যান চালিয়ে রাখলে তা ঘরের পরিবেশ শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। তাই বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করুন ঘরের ফ্যান চালিয়ে রাখতে। কারণ বৃষ্টির দিনগুলোতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘরের আর্দ্রতা অনেকটাই দূর হয়ে যায়
৩. বাথরুম বা টয়লেট, বন্ধ ঘর অর্থাৎ যেসব জায়গা সবসময় স্যাঁতসেঁতে থাকে এবং ছত্রাক ও পোকামাকড় সহজেই বৃদ্ধি পেতে পারে, সেখানে কীটনাশক ছড়িয়ে দিন। আর সপ্তাহে অন্তত একদিন রান্নাঘর ও বাথরুম জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৪. বৃষ্টির দিনে ঘরের ভেতরে ভেজা কাপড় শুকাবেন না ও গোসলের পর বাথরুম মুছে রাখুন যাতে পানি জমে না থাকে।
৫. আসবাবের নীচে একটি টিনের বা কাঁচের পাত্রে এক টুকরো সালফার বা গন্ধক রেখে দিন, এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে আসবাব মুক্ত থাকবে।
৬. আলমারি বা ওয়্যারড্রোবে কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে ন্যাপথলিন রেখে দিন, এতে জামা-কাপড়ের গন্ধ দূর হবে।
এনএ/