সারাদেশে অব্যাহত অতি তাপপ্রবাহ। ২৪ ঘণ্টাই চলছে ফ্যান, এরপরও নেই স্বস্তি। তাই বাড়ছে বিদ্যুৎ খরচ। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলের জন্য বাড়তি খরচে চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজ। কিছু ট্রিকস জানা থাকলে খুব সহজেই কমাতে পারবেন বিদ্যুৎ বিল।
বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে চাইলে প্রথমেই বাড়ির পুরোনো সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলতে হবে। কেননা এ ধরনের যন্ত্রপাতিগুলো বৈদ্যুতিক বিল প্রচুর পরিমাণে খরচ করে। এর ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এখন বাজারে শক্তি সাশ্রয়ী ৫ স্টার রেটযুক্ত যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। আধুনিক সেই যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ অনেকটা সাশ্রয় করা যায়।
শুধু যেই ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করছেন সেগুলোর সুইচ অন রাখুন। অপ্রয়োজনে ইলেকট্রিক যন্ত্রের সুইচ সব সময় অফ রাখতে ভুলবেন না। এমনকি ফোনের চার্জার বা ল্যাপটপের মতো ছোট ছোট ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রেও একই বিষয় মনে রাখতে হবে।
আধুনিক বাল্ব ব্যবহার করুন। বাড়িতে এলইডি বাল্বের পরিবর্তে অন্য কোনো বাল্ব ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাহলে আজই তা পরিবর্তন করুন। আধুনিক এলইডি লাইট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। অন্য বাল্ব তা করে না।
বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন বিদ্যুৎ অনর্থক কাজে ব্যয় না হয়। কম্পিউটার ও মোবাইল চার্জারের কাজ হয়ে গেলে তা সব সময় অফ রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে থাকা টিভিকে স্ট্যান্ডবাই মোডে কখনই রাখা যাবে না। এতে বিদ্যুৎ খরচ হয়।
এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি) সঠিক তাপমাত্রায় চালাতে হবে। গ্রীষ্মে বেশি এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি) ব্যবহার করতে হয়। এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে ব্যাপারটা তেমন নয়। শুধু এর সঠিক ব্যবহার করতে জানতে হবে। এসি থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অপচয়রোধ করার নিয়ম জানতে হবে।
মনে রাখতে হবে এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি)যদি ২৪ ডিগ্রি অটোমেটিক সেটিংয়ে চালানো হয় তাহলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কম আসে। তবে সচেতনতাও এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
হাআমা/