কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বুধবারও চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ।
এই গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরে-বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। এই অবস্থা আরও কদিন চলতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই, এই গরম থেকে কীভাবে স্বস্তি পাওয়া যাবে।
পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন-
* আধা ঘণ্টা অন্তর পানি পান করুন। তবে অতিরিক্ত পানি পান থেকে বিরত থাকুন। কারণ অতিরিক্ত পানি পান কিডনি ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
* ঘামে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ-চিনি বেরিয়ে যায়। তাই দিনে অন্তত এক গ্লাস গ্লুকোজ শরবত বা খাওয়ার স্যালাইন পান করুন।
* মাংসসহ ভারী ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন, বেশি করে ফল ও শাকসবজি খান।
* গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি জুস পান করুন।
* দিনে বাইরে কম বের হওয়ার চেষ্টা করুন।
বাইরে আরাম পেতে-
* রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
* বাইরে বের হলে রোদের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে ছাতা ব্যবহার করুন।
* ব্যাগে সব সময় ফোল্ডিং ছাতা, পানির বোতল ও টিস্যু রাখুন।
* দীর্ঘ সময় বাইরে থাকলে ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। মাঝেমধ্যে চোখমুখে পানির ঝাপটা দিন।
* ঘামের গন্ধ দূর করতে ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম ব্যবহার করুন।
ঘরে আরাম পেতে-
* তীব্র এই গরমে এসি ছাড়া ঘরেও শান্তি নেই। কিন্তু ঘরে এসি রাখার সামর্থ্য কি সবার থাকে! তবে এসি ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে ঘর ঠান্ডা রাখা সম্ভব।
* ঘর ঠান্ডা রাখতে সূর্যের প্রখর তাপ ঘরে আসতে দেওয়া যাবে না। তাই সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেই সব জানালার পর্দা টেনে রাখুন। রাতে অবশ্যই জানালা খুলে দিন, যাতে বাইরের ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে।
* ফ্যানের নিচে গামলায় বরফ বা পানি রেখে দিন। তাতে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে আসবে।
* যথাসম্ভব বাতি কম জ্বালাবেন। কারণ বাতি ঘরের গরম বাড়িয়ে তোলে।
* রান্না শেষে গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখুন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা কোনো কাজের কথা নয়।
এ ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে গেলে, অচেতন হয়ে পড়লে, মাথা ঘোরা দেখা দিলে, তীব্র মাথাব্যথা হলে, খিঁচুনি হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যান। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলুন। রোগীর শরীরে বাতাস করুন। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে দিন। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুঁচকিতে আইস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। সর্বোপরি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
এনএ/