একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগে বাসস্থানের গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করতে ভুলে যান অনেকেই, যা ডেকে নিয়ে আসতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
ঈদে বাড়ি ফেরার আগে অন্য কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো ঘরের গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ যথাযথভাবে বন্ধ করে যাওয়া। নয়ত ঈদ আনন্দ উদযাপন শেষে ঘরে ফিরলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হতে পারে।
বাড়ি ফেরার আগে কী কী করণীয়, এক বার্তায় তা জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানায়, ঈদে ঢাকা ছাড়ার আগে অবশ্যই ঘরের বৈদ্যুতিক সব সুইচ বন্ধ ও যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্লাগ খুলে রাখতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার খুলে কিংবা গ্যাসের লাইন বন্ধ করে যেতে হবে।
এ ছাড়া পানির লাইন বন্ধ রাখা এবং ঢাকায় ফিরে বাসায় প্রবেশের পর চুলা জ্বালানোর আগে ৩০ মিনিট দরজা-জানালা খোলা রাখতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর আসলাম বলেন, ঈদ উদযাপন করতে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে। এসময়টায় যেন তার বাসাবাড়ি সুরক্ষিত থাকে এবং কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রিম বার্তা ও করণীয় জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার আগে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ ও সরঞ্জামের সংযোগ খুলে রাখলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসবে না এবং শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের কোনো ঝুঁকি থাকবে না। একইভাবে গ্যাসের লাইন ভালোভাবে বন্ধ করে গেলে ঘরে কোনো গ্যাস জমে থাকবে না, ফলে ঘরে ফিরে এসে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হবে না। তবুও করণীয় হচ্ছে বাসস্থানে ফেরার পর চুলা জ্বালানোর আগে দরজা-জানালা ৩০ মিনিট খুলে রাখা। এতে ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন একই কথা। বাড়ি ছাড়ার আগে বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংযোগ যথাযথভাবে বন্ধ করে গেলে দুর্ঘটনার পরিমাণ শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার আগে নিজ ঘরের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন বন্ধ করে যাওয়া। এতে করে নিজের ঘরও সেইফ থাকার পাশাপাশি প্রতিবেশীর ঘরও ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। ইদানিং বিভিন্ন স্থানে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ঘটছে।আমরা চাই না কোনো বাসাবাড়িতে এমন দুর্ঘটনা ঘটুক, এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
বিনু/