ডিপ ফ্রিজে মাছ-মাংস কতদিন সংরক্ষণ করা যাবে এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণে কী ক্ষতি হতে পারে এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানান, সতেজ খাবার খাওয়া সব সময়ের জন্যই ভালো। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা খাবার খাওয়া একদম উচিত নয়। ডিপ ফ্রিজে মাছ এবং মাংস অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকলেও সময়ের সঙ্গে এগুলোর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর রান্না করলে স্বাদেরও তারতম্য হয়। কাঁচা মাছ-মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে এগুলোর পুষ্টিগুণ কম নষ্ট হবে।
মাছ- মাংস কখনোই ফ্রিজে একসঙ্গে সংরক্ষণ করা যাবে না। অল্প অল্প করে ভাগ করে রাখতে হবে এবং ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস বের করে বরফ গলানোর পর আবার ফ্রিজে উঠানো একদমই উচিত নয়। এক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে।
মাংস বড় টুকরা করে রাখতে হবে। মাছ ভালো করে ধোয়া না হলে মাছের ফুলকা বা কানকোতে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। এগুলো ঠান্ডা তাপমাত্রায় বংশবিস্তার করে মাছ নষ্ট করে দেয়। অনেক সময় দেখে বোঝা যায় না মাছ নষ্ট হয়েছে। তবে খাওয়ার পর শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় বায়ুরোধী বক্সে মাছ মাংস ফ্রিজে রাখলে। এভাবে সংরক্ষণ করে মাছ সর্বোচ্চ ১৫ দিন এবং মাংস সর্বোচ্চ ২-৩ মাস রেখে খাওয়া ভালো।
রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত মাছ-মাংসের বরফ যেভাবে গলাবেন
প্রথমে রেফ্রিজারেটর সুইচ অফ করে নিন। ভেতরে জমা বরফ হালকা হয়ে গেলে প্যাকেট থেকে ছাড়িয়ে ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। বরফ গলানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় নিন এবং প্রতি আধঘণ্টা পর পর পানি পরিবর্তন করুন। বাইরের দিকের বরফ গলে গেলেই খাওয়া কিংবা রান্না করা আরম্ভ করবেন না, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। সর্বোপরি সংরক্ষিত খাবারের ঘ্রাণ যদি ঠিক মনে না হয় তবে সেটা না খাওয়াই ভালো।
এছাড়া অন্য খাবার কতদিন রাখা যাবে-
দুধ
গরমে প্যাকেটজাত দুধ কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদ দেখে নিন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই খাবেন।
সবজি
সবজি বাজার থেকে এনে ধুয়ে পানি শুকিয়ে ফ্রিজে রাখুন দুই থেকে তিন দিনের বেশি ফ্রিজে সবজি না রেখে টাটকা সবজি খান।
ফল
মৌসুমী ফল ২ থেকে ৩ দিন ভালো থাকে।
এনএ/