|| মহিউদ্দীন মাআয ||
রমজান মাস। আত্মশুদ্ধির মাস। এ মাসে আছে রবের নৈকট্য লাভের অফুরন্ত সুযোগ। তাই মুমিন ব্যক্তির নিজের আমলের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
অতএব রোজা রেখে অজু-গোসলের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, অনিচ্ছা সত্ত্বেও গলার মধ্যে পানি চলে গেলে কিংবা নাক দিয়ে খাদ্যনালিতে পানি প্রবেশ করলে, রোজা ভেঙে যাবে। তবে এমন হয়ে গেলে শুধু রোজার কাজা আদায় করতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৬/২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০১)
এ বিষয়ে সতর্ক করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (অজু-গোসলের সময়) ভালোভাবে নাকে পানি দাও তবে রোজা অবস্থায় নয়। (আবু দাউদ: ২৩৬৩)
তবে,রোজার কথা স্মরণ না থাকায় গড়গড়া করে ফেললে এবং গলায় পানি চলে গেলে, রোজা ভাঙবে না। তাই ওই রোজার কাজা-কাফফারা কোনোটিই আদায় করতে হবে না। কারণ, ভুলে পানাহার করলেও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। আল্লাহর রাসুল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’ (মুসলিম: ১/২০২)
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আছে, যে রমজান মাসে ভুলে পানাহার করল, তার ওপর কোনো কাজা নেই; কোনো কাফফারাও নেই। (ইবনে হিব্বান: ০৮/২৮৮; হাকিম: ০১/৪৩০;)
অনুরূপভাবে ভুলবশত স্ত্রী সহবাস করলেও রোজা ভাঙে না। অবশ্য, এসকল ক্ষেত্রে স্মরণ হওয়া মাত্রই তা থেকে বিরত থাকতে হবে। (রদ্দুল মুখতার, খণ্ড: ০৩, পৃষ্ঠা: ৩৬৫)
স্মর্তব্য, রোজা অবস্থায় কুলি করা এবং নাকে পানি দেওয়া নিষেধ নয়। তবে, গড়গড়া করা এবং নাকের ভেতর জোরে পানি টেনে নেওয়া যাবে না। (আবকে মাসায়েল আউর উনকা হল: ২৮৩)
সুতরাং, রোজা অবস্থায় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা মুমিনের একান্ত কর্তব্য।
এমএম/