শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

হায়াত বৃদ্ধি পায় যেসব আমলে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামের বিধান অনুসারে, কোনো মুসলমানের জন্য স্বাভাবিকভাবে হায়াত বাড়ানোর দোয়া করা শরিয়তসম্মত একটি বৈধ কাজ। নেক আমল বা দোয়ার দ্বারা আল্লাহর পক্ষ থেকে হায়াত বাড়ে হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

জীবন-মৃত্যু নির্ধারিত। প্রত্যেক মানুষ তার নির্ধারিত সময়ে মৃত্যুর সঙ্গে আলিঙ্গন করবে। কিন্তু এমন কিছু কাজ আছে, যে কাজগুলো করলে আল্লাহ তায়ালা তার হায়াত বৃদ্ধি করে দেবেন। হায়াত বৃদ্ধি পাওয়া আক্ষরিক অর্থেও হতে পারে।

অথবা এর অর্থ হলো, মহান আল্লাহ হায়াতে বরকত দান করেন। যার কারণে অল্প সময়ে অনেক বেশি সত্কর্ম করা সম্ভব হয়। ফলে কেউ (উদাহরণস্বরূপ) ৭০ বছরের আমল ৫০ বছরেই করে ফেলতে পারে। কিংবা মহান আল্লাহ তাকে এমন কাজ করার তাওফিক দান করবেন, যা মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণ রাখবে।

এক. মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। সালমান ফারসি রা. বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো কিছু হায়াত বাড়াতে পারে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২১৩৯)

দুই. আত্মীয়তার বন্ধন ঠিক রাখা। আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখা ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান।

যারা আত্মীয়তার বন্ধন ঠিক রাখে তাদের জীবনে আল্লাহ তায়ালা অদৃশ্য বরকত দান করবেন। আনাস ইবনু মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি চায় যে তার রিজিক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বর্ধিত হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)

তিন. প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর আচরণ করা। ইসলামে প্রতিবেশীর দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ আমরা সামাজিক জীব।

আমাদের জীবনে প্রতিবেশীর ভালোবাসার প্রয়োজন অপরিহার্য। যে ব্যক্তি প্রতিবেশীর হক আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার হায়াতে বরকত দান করবেন। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করিম সা. বলেছেন, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা, চরিত্র সুন্দর করা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার রাখায় দেশ আবাদ থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৫২৫৯)

এখানে তিনটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর আচরণের বিশেষ গুরুত্ব আছে। তিনটি বিষয় জীবনে শান্তি আনার ক্ষেত্রে অনেক প্রভাব রাখে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ