শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প

মনোবল বৃদ্ধিতে যে দোয়া পড়তেন সাহাবায়ে কেরাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রিয়নবী সা. উম্মতকে অনেক দোয়া শিখিয়েছেন। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তিনি সাহাবিদের জন্য বিভিন্ন দোয়া করেছেন বলে হাদিসের বর্ণনায় পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি দোয়া এমন, যেটি পড়লে মনের জোর ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। দোয়াটি হলো—

اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হাদিয়াম মাহদিয়্যা।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন, এবং আমাকে হেদায়াতপ্রাপ্ত ও হেদায়াতকারী বানিয়ে দিন।’

জারির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. (তাঁকে) বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাহকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটি ছিল একটি মূর্তি। লোকেরা এর পূজা করত। সেটিকে বলা হতো ইয়েমেনি কাবা। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি ঘোড়ার পিঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে থাবা মারলেন ও এই দোয়া করলেন। (বুখারি: ৬৩৩৩)

উল্লেখ্য, রাসুল সা. যেহেতু অন্যের জন্য দোয়া করেছিলেন তাই তিনি ‘আল্লাহুম্মা ছাব্বিতহু ওয়াজআলহু হা-দিয়াম মাহদিয়্যা’ বলেছিলেন। কিন্তু নিজের জন্য দোয়া করার ক্ষেত্রে বলতে হবে ‘আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি ওয়াজআলনি হা-দিয়াম মাহদিয়্যা।’

এছাড়াও মনের ভয় দূর করতে এবং কষ্টকর দায়িত্ব সহজে পালন করতে কিছু আমলের কথা পাওয়া যায়। যেমন- ‘লা হাউলা ওয়ালা ক্বুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ (অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সামর্থ্য-শক্তি নেই) পড়া কার্যকরী একটি আমল। আবার দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর ১০০ বার ইয়া-মুহাইমিনু (হে রক্ষাকর্তা) পড়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন আলেমরা।

মনোবল ও সৎসাহস বাড়াতে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুলেরও বেশ সুফল রয়েছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক: ৩)

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ