শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে নামাজ পড়লে কি জামাতের সওয়াব পাওয়া যাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ঈমান আনার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাজ। আর জামাতে নামাজের রয়েছে অগণিত সওয়াব। কোনো গ্রহণযোগ্য অসুবিধা না থাকলে পুরুষদের জন্য জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। অনেকে মসজিদে যেতে না পেরে স্ত্রীর সঙ্গে ঘরেই জামাতে নামাজ আদায় করেন। এভাবে ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে নামাজ পড়লে কি জামাতের সওয়াব পাওয়া যাবে?

কোনো গ্রহণযোগ্য ওজর বা অসুবিধা না থাকলে পুরুষদের জন্য ফরজ নামাজগুলো মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রুকু আদায়কারীদের সাথে রুকু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,

وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّكٰوۃَ وَ ارۡكَعُوۡا مَعَ الرّٰكِعِیۡنَ

তোমরা নামাজ আদায় করো, জাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকূ কর। (সুরা বাকারা: ৪৩)

কুরআনে যুদ্ধ বা নিরাপত্তাহীনতার সময়ও বিশেষ পদ্ধতিতে সতর্কতা অবলম্বন করে জামাতে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (সুরা নিসা: ১০২)

হাদিসে নামাজের জামাতে উপস্থিত না হওয়াকে মুনাফিকদের কাজ বলা হয়েছে এবং মসজিদে নামাজ আদায়ের অপরিসীম সওয়াবের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

 

إِنَّ أَثْقَلَ صَلاَةٍ عَلَى الْمُنَافِقِينَ صَلاَةُ الْعِشَاءِ وَصَلاَةُ الْفَجْرِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا

ইশা ও ফজরের সালাত আদায় করা মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তারা যদি জানত যে, এ দুটি নামাজের পুরস্কার বা সাওয়াব কত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে বুক হেঁচড়ে হলেও তারা এ দুই নামাজের জামাতে উপস্থিত হত। (সহিহ মুসলিম: ৬৫১)

তাই মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কোনো ওজর বা অসুবিধা না থাকলে কোনোভাবেই মসজিদের জামাতে না গিয়ে ঘরে জামাত করা সমীচীন নয়। তবে কারো কোনো অসুবিধা থাকলে, কোনো ওয়াক্তে মসজিদে যেতে না পারলে ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেও জামাতের সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়াও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। নবীজি সা. এ ফজিলত লাভের চেষ্টা করতে উৎসাহ দিয়েছেন। সওয়াবের পাশাপাশি আগে মসজিদে উপস্থিত হলে প্রথম কাতারে বসা, জামাতে প্রথম থেকেই শরিক থাকা, নফল আদায় করা যায়, কুরআন তেলাওয়াত করাসহ অনেক আমল ও সওয়াবের কাজের সুযোগও পাওয়া যায়। ফেরেশতারা এমন ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করেন যারা নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হয়। এ ছাড়া মুমিন ব্যক্তি যতোক্ষণ নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকে, তা নামাজের ভেতরে থাকাই গণ্য হয় এবং সওয়াব লেখা হতে থাকে।

স্বামী-স্ত্রীর জামাতের পদ্ধতি

 কখনো মসজিদের জামাত না পেলে বা অপারগতার কারণে মসজিদে যাওয়া না হলে— সেক্ষেত্রে একাকী নামাজ না পড়ে বাসায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়াই উত্তম। (বাদায়িউস সানায়ি: ১/৩৮৫; আদ্দুররুল মুখতার: ১/৫৫৩)

 জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর পাশাপাশি না দাঁড়িয়ে পেছনে দাঁড়াবে। এতটুকু সম্ভব না হলে, ডান পাশে একটু পেছনে সরে দাঁড়ালেও নামাজ হয়ে যাবে। তবে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে সমান হয়ে দাঁড়াতে পারবে না, কারণ এভাবে দাঁড়ালে উভয়ের নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। (রাদ্দুল মুহতার: ১/৫৭২)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ