শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

যেসব আমলে হালাল রিজিকের দরজা খুলে যায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

কুরআনে আল্লাহ তার নবী নুহ আ. এর ঘটনায় উল্লেখ করেছেন, নুহ আ. তার জাতিকে বলেছিলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করো, ইস্তিগফারের বরকতে আল্লাহ বৃষ্টি দান করবেন, তোমাদের সম্পদ ও সন্তান সন্ততিতে বরকত দান করবেন। আল্লাহ বলেন,
আর বলেছি, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ: ১০-১২)

এ আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, দুনিয়ায় সমৃদ্ধি, হালাল রিজিক, সম্পদ ও সুসন্তান লাভের একটা উপায় হলো আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা।

হালাল রিজিক ইবাদত কবুলের শর্ত। হারাম রিজিক ঈমান ও আমল নষ্টের কারণ। তাই মহান আল্লাহ নবী-রাসুলদের হালাল রিজিক গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে রাসুলরা, তোমরা পবিত্র বস্তু থেকে খাদ্য গ্রহণ ও সৎকর্ম করো। তোমরা যা করো সে সম্পর্কে আমি অবগত।’ (সুরা মুমিনুন: ৫১) 

আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ করেন, ‘হে মানবজাতি। পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে তা হতে তোমরা খাও ও শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্যে শত্রু। (সুরা বাকারা: ১৬৮) রাসুল সা. বলেন, ‘হালাল রিজিক তালাশ করা অন্য ফরজের পর ফরজ।’ (আল মুজামুল কাবির: ৯৯৯৩)

কুরআন ও হাদিসে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব বর্ণনার পাশাপাশি দোয়ারও শিক্ষা রয়েছে। এ সংক্রান্ত পবিত্র কুরআনে বর্ণিত একটি দোয়াটি হলো—

اللهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ،وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহু লাতিফুম বি-ইদিহি ইয়ারজুকু মাই ইয়াশায়ু ওয়া হুয়াল ক্ববিউল আজিজ।’
অর্থ: ‘আল্লাহ নিজ বান্দাদের প্রতি অনুগ্রহপরায়ণ, যাকে ইচ্ছা তিনি রিজিক দেন, তিনি শক্তিশালী, পরাক্রান্ত।’ (সুরা: আশশুরা: ১৯)

হাদিসেও হালাল রিজিক উপার্জনের দোয়া রয়েছে। একটি দোয়া পড়লে হালাল উপার্জন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও হয়ে যাবে মর্মে হাদিস রয়েছে। দোয়াটি হলো—

اَللّهُمَّ اكْفِنِى بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَاغْنِنِى بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুমমাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়াগনিনী বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াকা।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করো না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে স্বচ্ছলতা দান করো।’ হজরত আলী রা. এক ব্যক্তিকে এই দোয়া শিক্ষা দিয়ে বলেন, এটি তুমি পাঠ করলে আল্লাহই তোমার ঋণমুক্তির ব্যাপারে দায়িত্ব নেবেন, যদি তোমার ঋণ পর্বতসমানও হয়। (তিরমিজি: ৩৫৬৩; মুসনাদ আহমদ: ১৩২১)

হাদিসে বর্ণিত ঋণমুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া হলো-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুঃশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ (বুখারি: ২৮৯৩)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ