জুমার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন ‘সুরা জুমুআ’ নাজিল করেছেন। আল্লাহ তায়ালা জুমার সালাতের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! জুমার দিনে যখন তোমাদের সালাতের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা তা উপলব্ধি করো। অতঃপর যখন সালাত শেষ হয়ে যায় তখন তোমরা (কাজকর্মের জন্য) পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো..। ’ (সুরা : জুমুআ, আয়াত : ৯-১০)
পবিত্র জুমা, জুমার রাত ও জুমার দিন ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক হাদিসে মহানবী সা. ইরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন আদম আ.-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৮৫৪)
সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে জুমার দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনজির রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. জুমার দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম আ.-কে সৃষ্টি করেছেন।
দুই. আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম আ.-কে জমিনে অবতরণ করিয়েছেন।
তিন. এই দিনে আদম আ.-কে মৃত্যু দিয়েছেন।
চার. এই দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা কিছুই প্রার্থনা করে তিনি তা দেন; যতক্ষণ সে হারাম কিছু প্রার্থনা করবে না।
পাঁচ. এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। (ইবনে মাজাহ : ৮৯৫)
প্রশ্ন হলো, কাদের ওপর জুমার সালাত আদায় করা ফরজ? এর জবাব হলো, চার শ্রেণির মানুষ ছাড়া প্রত্যেক মুসলিমের ওপর জুমার সালাত ফরজ করা হয়েছে।
এই চার শ্রেণির ব্যক্তি হচ্ছে ক্রীত দাস-দাসী, নাবালক সন্তান, রোগী ও মুসাফির। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘চার ব্যক্তি ছাড়া প্রত্যেক মুসলিমের ওপর জুমার সালাত জামাতের সঙ্গে আদায় করা ওয়াজিব (ফরজ); (তারা হচ্ছে) ক্রীত দাস-দাসী, নারী, নাবালক সন্তান ও রোগী।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৬৭)
এনএ/