শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে দোয়া শিখিয়েছেন নবীজি সা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

প্রিয়নবী সা. তাঁর উম্মতকে অনেক দোয়া শিখিয়েছেন এবং নিজেও উম্মতের জন্য দোয়া করেছেন। হাদিসে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তিনি সাহাবিদের জন্য দোয়া করেছেন। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত জারির রা.-এর মানসিক অক্ষমতায় নবীজি সা. দোয়া করার পর তিনি সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছিলেন।

মানসিক শক্তিবৃদ্ধির দোয়া-

اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হাদিয়াম মাহদিয়্যা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন, এবং আমাকে হেদায়াতপ্রাপ্ত ও হেদায়াতকারী বানিয়ে দিন।

জারির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. (তাঁকে) বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাহকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটি ছিল একটি মূর্তি। লোকেরা এর পূজা করত। সেটিকে বলা হতো ইয়েমেনি কাবা।

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি অশ্বপৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটি থাবা মারলেন এবং বললেন (দোয়া করলেন), ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হেদায়াতকারী ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন।’

তখন আমি আমারই গোত্র আহমাসের ৫০জন যোদ্ধাসহ বের হলাম।...তারপর আমি সেই মূর্তিটির কাছে গিয়ে সেটি জ্বালিয়ে ফেললাম। এরপর আমি নবী সা.-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করলেন। (বুখারি: ৬৩৩৩)

মানসিক শক্তিবৃদ্ধির আমল

মনের সাহস বা আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য ‘তাওয়াক্কুল’ বা আল্লাহর ওপর ভরসা করা কার্যকর আমল। তাওয়াক্কুলের সুফল অনেক। তাওয়াক্কুল যত শক্তিশালী হবে মনের সাহসও তত বেশি পরিলক্ষিত হবে। হাসান বসরি রহ বলেন, ‘মালিকের ওপর বান্দার তাওয়াক্কুলের অর্থ, আল্লাহই তার নির্ভরতার স্থান—একথা সে মনে রাখবে।’ (জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম, পৃ-৪৩৭)।

তাওয়াক্কুলের সুফল নিয়ে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক: ৩)

এছাড়াও ভয় দূর করতে এবং কষ্টকর দায়িত্ব সহজে পালন করতে ‘লা হাউলা ওয়ালা ক্বুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ (অর্থ: কোনো সামর্থ্য-শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর ১০০ বার ইয়া-মুহাইমিনু (হে রক্ষাকর্তা) পড়ার পরামর্শ দেন আলেমরা।

সাহস ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে আল্লাহর জিকির ও কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্বও অপরিসীম। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ