শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

বিশ্ব মা দিবস: মা-বাবার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

মা বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মা বাবা যার নাই সেই বুঝে তাদের কদর। ইসলাম বাবা মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসন দিয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতামাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল। (বনি ইসরাইল ২৩)

পিতামাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না। (বনি ইসরাইল ২৩)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, জন্মদাতার (মা-বাবার) সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি আর জন্মদাতার (মা-বাবার) অসন্তুষ্টিতে অল্লাহর অসন্তষ্টি।‘ (তিরমিজি)

একবার হযরত মুআবিয়া ইবনে জাহিমাহ আস-সুলামি রসুলুল্লাহ সা.-এর খেদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রসুল সা.! আমি যুদ্ধে যেতে চাই। আর এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কামনা করছি। উত্তরে নবীজি সা. বলেন, তোমার মা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। নবীজি সা. বললেন, তাহলে তার খিদমতে লেগে থাক। কেননা (তোমার) জান্নাত তার দুপায়ের নিচে (নাসাঈ ৩১০৪)।

মানবতার ধর্ম ইসলাম মাকে দিয়েছে বর্ণনাতীত মর্যাদা ও সম্মান। ইসলামের দৃষ্টিতে বাবার চেয়ে মায়ের মর্যাদা তিনগুণ বেশি। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, এক ব্যক্তি রসুল সা.-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রসুল সা.।

মানুষের মাঝে আমার কাছ থেকে সর্বোত্তম সেবা লাভের অধিকার কার? নবী সা. বলেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তার পর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি আবারও জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার পিতার। (বুখারি ও মুসলিম)

বাবা মার জন্য দোয়া-

নবীজি বাবা মায়ের জন্য যে দোয়া করবেন, সেটাও শিখিয়ে দিয়েছেন।

رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

উচ্চারণ: ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’

অর্থ: (হে আমাদের) পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’

মা বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া-

যাদের বাবা মা মৃত্যু বরণ করেছেন, তাদের জন্যও রসুল সা. দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন।

رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ

উচ্চারণ: ‘রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব।’

অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন।’

رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا

উচ্চারণ: ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়া লিমান দাখালা বাইতিয়া মু’মিনাও ওয়ালিল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাত। ওয়ালা তাজিদিজ জা-লিমিনা ইল্লা তাবারা।’

অর্থ: ‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতামাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষদের ক্ষমা করুন এবং আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’

নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়-

رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰهُ وَ اَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ وَ اِنِّیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ

উচ্চারণ : রাব্বি আওঝি’নি আন আশকুরা নি’মাতাকাল-ল্লাতি আনআ’মতা আলাইয়্যা ওয়া আলা ওয়ালিদাইয়্যা, ওয়া-আন, আ’মালা ছালিহাং, তারদ্বা, ওয়া-আছ-লিহলি ফি যুরয়্যিাতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা ওয়া-ইন্নি মিনাল মুসলিমীন।

অর্থ : হে আমার রাব্ব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাতে আমি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার মাতা-পিতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্য এবং যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন; আমার জন্য আমার সন্তান সন্ততিদেরকে সৎকর্মপরায়ণ করুন, আমি আপনার কাছে তাওবা করলাম এবং আত্মসমর্পণ করলাম। (সূরা আহকাফ, আয়াত : ১৫)

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পিতা-মাতার সেবা করার তাওফিক দার করুন। আমিন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ