সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

রোজা রেখে ডায়াবেটিস মাপা যাবে ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

প্রশ্ন: রোজা রাখা অবস্থায় কি ডায়বেটিস মেশিন দিয়ে মেজার করা যাবে?

উল্লেখ্য তাতে রক্তের প্রয়োজন হয় এবং সুঁই বা পিন জাতীয় জিনিস দিয়ে আঙ্গুল থেকে রক্ত নিয়ে মেপে দেখতে হয়। এমন অবস্থায় ডায়বেটিস মাপলে কি রোজা ঠিক থাকবে নাকি ভেঙে যাবে?

উত্তর: রমজানের রোজা আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রমজান হলো সেই মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।

কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে— সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তায়ালার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

এখন কথা হলো- রোজা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভাঙে না। তাই টেস্ট বা পরীক্ষার জন্য রক্ত দেওয়া যাবে। তবে এ পরিমাণ রক্ত দেওয়া মাকরুহ— যার কারণে শরীর অধিক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই দুর্বল লোকদের জন্য রোজা অবস্থায় অন্য রোগীকে রক্ত দেওয়া ঠিক নয়।

আর এমন সবল ব্যক্তি যে রোজা অবস্থায় অন্যকে রক্ত দিলে রোজা রাখা তার জন্য কষ্টকর হবে না— সে রক্ত দিতে পারবে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। আর যেহেতু ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সুচ ঢুকিয়ে যে একফোঁটা রক্ত নেওয়া হয়, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।

তথ্যসূত্র : সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৩৬, ১৯৪০; আল-বাহরুর রায়েক : ২/২৭৩; কিতাবুল আসল : ২/১৬৮; মাজমাউল আনহুর : ১/৩৬০)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ