হজরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সকালে দশবার বলে-
ﻻ ﺇﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟﻤُﻠْﻚُ؛ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক, তার কোনো অংশীদার নেই। তারই রাজত্ব, প্রশংসা তারই, আর তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাশালী।
এ দোয়ার বিনিময়ে তার আমলনামায় একশত নেকি লিখে দেওয়া হয় এবং একশ গোনাহ মুছে দেওয়া হয়। আর এ বাক্যগুলো একটি গোলাম মুক্ত করার সমতুল্য এবং এর দ্বারা ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে হেফাজত করা হয়। আর সন্ধ্যায় যে এ বাক্যগুলো বলে তারও অনুরূপ প্রাপ্য হয়। -মুসনাদে আহমাদ: ২/৩৬০ হাদিস- ৮৭১৯
ফায়েদা: হাদিসে উল্লেখিত বাক্যগুলো ফজরের নামাজের পর দশবার ও মাগরিবের নামাজের পর দশবার পাঠ করার কথা বলেছেন আলেমরা। এতে যেমন অশেষ নেকি হাসিল হবে, তেমনি আল্লাহতায়ালার পক্ষ হতে সুরক্ষাও পাওয়া যাবে।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক বর্ষণমূখর অন্ধকার রাতে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুঁজতে বের হলাম যেন তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ পড়েন। তারসঙ্গে যখন সাক্ষাৎ হলো- তিনি বললেন, ‘ﻗﻞ ’ (কুল) বল। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, ‘কুল’ বল। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, ‘কুল’ বল। আমি আরজ করলাম, আল্লাহর রাসূল! কী বলব? তিনি বললেন, ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ ও ‘মুয়াও-ওয়াযাতাইন (সূরা ফালাক ও নাস)’ সন্ধ্যায় ও সকালে- তিনবার। এ (সূরাগুলো পাঠে) সব কিছু থেকে তোমার হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হবে। -মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩১২; সুনানে আবু দাউদ: ৫০৮২
ফায়েদা: এ হাদিসে পাওয়া গেল যে, সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করা সকল অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।
এনএ/