শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আল্লামা মাহমুদুল হাসানের আহ্বানে সর্বস্তরের আলেমদের নিয়ে পরামর্শ সভা শুরু মসজিদে শোরগোল নিয়ে রাসূল সা. যেভাবে সতর্ক করেছিলেন ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

শীতের রাতে তাহাজ্জুদ পড়লে যে সওয়াব পাবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: ইন্টারনেট

শীতকাল ইবাদতের বসন্তকাল। এটা হাদিসের ভাষ্য। সাহাবি আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ১১৬৫৬)

মুমিনদের জন্য মহান প্রভুর দরবারে নিজেকে সঁপে দেওয়ার অবারিত সুযোগ থাকে শীতের রাতে। এই সময় শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের সওয়াব ও উপকার সীমাহীন। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্বের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা এসেছে। হজরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলতেন, ‘শীতকালকে স্বাগতম। কেননা তা বরকত বয়ে আনে। শীতের রাত দীর্ঘ হয়, যা কিয়ামুল লাইলের (রাতের নামাজ) সহায়ক এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে সহজ।’ (শুয়াবুল ঈমান, বাইহাকি, ৩৯৪০)।

আল্লাহ তায়ালাও  পবিত্র কোরআনে রাতের ইবাদতের কথা বলেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে, যা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত ইবাদত। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে ‘মাকামে মাহমুদে’ পৌঁছাবেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত, ৭৯)। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা ধৈর্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ পালনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।’ (সুরা আল ইমরান, আয়াত, ১৭)

রাতের ইবাদত সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন; কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি  সাড়া দেব তার ডাকে। কে আছে এমন, যে আমার নিকট চাইবে? আমি তাকে তা দেব। কে আছে এমন, যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি, হাদিস, ১১৪৫)

জেএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ