শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আল্লামা গহরপুরী রহ.-এর বাড়ির মসজিদের পুনঃনির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আরবি শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণায়ন নির্দেশিকা করতে ইফাবাকে তাগিদ ভারতীয় মুসলমানদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে : মুহিব খান ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিচারকদের ভয় দেখানো হতো’ একজন পাকিস্তানিরও ক্ষতি হলে ভয়াবহ পরিণাম হবে: খাজা আসিফ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আসছেন না পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে পর্যটক হত্যার দায়ভার কি ভারত এড়াতে পারে? আ. লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে : আমিরে মজলিস জর্ডানে নিষিদ্ধ হলো মুসলিম ব্রাদারহুড  নারী সংস্কার কমিশনের ইসলামফোবিয়া নিয়ে জাতীয় সেমিনার ৩০ এপ্রিল

জর্ডানে নিষিদ্ধ হলো মুসলিম ব্রাদারহুড 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জর্ডানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী গোষ্ঠী মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, তাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজেন আল-ফারায়া বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি একটি নাশকতার ষড়যন্ত্রের প্রতিক্রিয়া হিসাবে নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে৷ এই ষড়যন্ত্রে দলটির একজন নেতার ছেলে জড়িত ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

ফারায়া জানিয়েছেন, তথাকথিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সকল কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করার এবং যেকোনো কর্মকাণ্ড আইনের বিধান লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, এই গোষ্ঠীর মতাদর্শের যেকোনো প্রচারকারীকেও আইনের আওতায় আনা হবে৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রমাণিত হয়েছে যে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা অন্ধকারে (গোপনে) কাজ করে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে এমন কার্যকলাপে লিপ্ত হয়৷

জানানো হয়েছে, বিলুপ্ত মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা নিরাপত্তা ও জাতীয় ঐক্যে হস্তক্ষেপ করেছে এবং নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা ব্যাহত করেছে৷

গোষ্ঠীটির প্রকাশিত যে-কোনো কিছুর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে জর্ডান সরকার৷

এই ঘোষণার পরপরই পুলিশ রাজধানী আম্মানে দলটির সদর দপ্তর ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি চালায়৷
মুসলিম ব্রাদারহুড অনেক আরব দেশে নিষিদ্ধ হলেও জর্ডানে সংগঠনটি কয়েক দশক ধরেই আইনতসঙ্গতভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে৷ তারা সুন্নি ইসলামপন্থী মতাদর্শ এবং শরিয়া আইনের অধীনে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষিত লক্ষ্য নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে জর্ডানের প্রধান শহরগুলোতে তৃণমূল সমর্থন পেয়েছে৷

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্ট নির্বাচনে জর্ডানের ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট - আইএএফ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে৷ হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে ১৩৮টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসন জিতে নিয়েছে আইএএফ৷ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩২ শতাংশ৷

ভোটর ফল প্রকাশের পর আইএএফ নেতা ওয়ায়েল আল-সাক্কা বলেছিলেন, ‘জর্ডানের জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে৷'

মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মুরাদ আদাইলাহ নির্বাচনটিকে 'জনপ্রিয় গণভোট'  আখ্যা দিয়ে দাবি করেছিলেন, এই ফল প্রমাণ যে হামাসের প্রতি আইএএফ-এর সমর্থনকে জর্ডানের মানুষ গ্রহণ করেছে৷
মুসলিম ব্রাদারহুড অবশ্য দাবি করেছে যে, কয়েক দশক আগেই তারা সহিংস পন্থা ত্যাগ করেছে এবং এখন ইসলামপন্থী লক্ষ্য অর্জনে তারা শান্তিপূর্ণ উপায় অবলম্বন করছে৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ