ভারতের শীর্ষ মুসলিম নেতারা বলেছেন, ওয়াকফ আইনের সাম্প্রতিক সংশোধনের বিরুদ্ধে লড়াই চলতেই থাকবে, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার এই সংশোধনগুলো প্রত্যাহার করে। তাদের মতে, এই সংশোধনগুলো ওয়াকফ বোর্ডের স্বায়ত্তশাসন হ্রাস করতে পারে, ব্যবস্থাপনার কাঠামো বদলাতে পারে অথবা ধর্মীয় ও দাতব্য উদ্দেশ্যে নিবেদিত ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করতে পারে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) উলামা কো-অর্ডিনেশন কর্নাটকার উদ্যোগে মঙ্গলুরুর শাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। দক্ষিণ কন্নড়র কাজি এবং উলামা কো-অর্ডিনেশন কর্নাটকার পরিচালক আহমেদ মুসলিয়ার বলেন, ‘আমাদের জীবন থাকতে কেন্দ্রীয় সরকারকে ওয়াকফ আইনের সাম্প্রতিক সংশোধন কার্যকর করতে দেওয়া হবে না।’তিনি আরও জানান যে, এই সংশোধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে এবং মুসলিম সম্প্রদায় একজোট হয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে যাবে।
প্রাক্তন কর্নাটক রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ শফি বলেন, ওয়াকফ আইনে সংশোধনী আনায় কেন্দ্রীয় সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রতিবাদ কোনো রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়, বরং যারা এই সংশোধনী এনেছেন সেই ফ্যাসিবাদী মানসিকতার বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, যেমনটা মুসলিমরা শাহ বানু মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় বাতিল করাতে সরকারকে বাধ্য করেছিল, তেমনি এবারও কেন্দ্রকে ওয়াকফ সংশোধনী প্রত্যাহারে বাধ্য করবে।
এই প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন শেখ আবদুল খাদের মুসলিয়ার বোমব্রানা, এমএসএম আবদুল রশিদ জাইনি, ইউকে আবদুল আজিজ দারিমি চোক্কাবেট্টু এবং দক্ষিণ কন্নড় জেলা ওয়াকফ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি আবদুল নাসির লাকি স্টার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই প্রতিবাদে অংশ নেন। মঞ্চ থেকে স্লোগান ওঠে—‘হাম লড়কে লেঙ্গে আজাদি, হ্যায় জান সে পিয়ারি আজ়াদি।’ আর সেই স্লোগানে কণ্ঠ মেলান উপস্থিত জনতা।
সূত্র: দ্য হিন্দু
এনএইচ/