ভূমিকম্পের ফলে মিয়ানমারে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ক্রমশ বাড়ছে। ধ্বংসস্তূপ সরাতেই মিলছে মরদেহ। শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় ভূমিকম্পে নিহতের সরকারি সংখ্যা ১০০২-এ পৌঁছেছে। আহতদের সংখ্যা ২,৩৭৬ জন।
এই সময়ে ৩০ জন নিখোঁজের তথ্য সরকারি দপ্তরে তালিকাভুক্ত করেছেন স্বজনরা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বরাতে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে ভারী সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। মান্দালয়ের একটি উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, তারা খালি হাতে একটু একটু করে কংক্রিটের স্তূপ সরিয়ে মানুষদের বের করছে। আটকে পড়াদের অতি দ্রুত উদ্ধার সম্ভব না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল দেশটির মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭.২ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আফটার শক হয়। ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডো, মান্দালয়, সাইগাইংসহ ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছে জান্তা সরকার।
এদিকে মিয়ানমারে ভূমিকম্পে কেঁপেছে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়া। এর মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে থাইল্যান্ডে। ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ।
প্রসঙ্গত, বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সাবেক গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানতে উদ্গ্রীব তার সমর্থকরা।
এরই প্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসকে জানায়, মিয়ানমারের প্রাক্তন নেত্রী অং সান সু চি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। রাজধানী নেপিদওয়ের কারাগারে তিনি বন্দিবস্থায় সুস্থ রয়েছেন।
অং সান সু চি ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আটক রয়েছেন।েএমএম/