রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ ।। ১৬ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১ শাওয়াল ১৪৪৬


ইসরায়েলি হামলায় হামাসের মুখপাত্র নিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় তাঁবুতে ইসরায়েলি বাহিনী হামলায় তিনি প্রাণ হারান।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদে নিজের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন।

কুদস নিউজ নেটওয়ার্কও হামাসের এই মুখপাত্রের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা মাটিতে আবৃত অবস্থায় আল-কানৌয়ার লাশের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে হামাস-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল গাজায় তাদের অভিযান পুনরায় শুরু করার পর থেকে হামাসের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই প্রাণ হারিয়েছেন।

হামাস-পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশন জানিয়েছে, জাবালিয়ায় আল-কানৌয়ার তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে তিনি নিহত হন। একই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় কমপক্ষে ছয়জন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একজন নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।

এই সপ্তাহের শুরুতে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইসমাইল বারহুম এবং আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহ আল-বারহুমকে হত্যা করে ইসরায়েল। বারহুম এবং আল-বারহুম উভয়ই ২০ সদস্যের হামাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংস্থা “রাজনৈতিক কার্যালয়ের” সদস্য ছিলেন।

হামাস সূত্র অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই সংস্থার ১১ জন নিহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৮৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজার ১৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ১৩ হাজার ৮২৮ জন।

তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এরও বেশি বলে জানিয়েছে। এই হিসেবে, যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে যেসব হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ হয়েছেন তাদেরকে নিহত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর