যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ওপর বড় পরিসরে হামলা চালিয়ছে। হামলায় নারী-শিশুসহ ২৪ জন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের মানবিক সহায়তা অবরোধের প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরাইলি-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে পুনরায় আক্রমণ চালানোর হুমকি দেয়ার পর ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ওপর বড় আকারের সামরিক হামলা শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অভিযানে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। অভিযানটি দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হুথি-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশে মার্কিন বিমান হামলায় চার শিশু ও এক মহিলাসহ কমপক্ষে ১১ জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন।
এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এই হামলা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে এটিই সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক অভিযান। তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি তাকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় আনার চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সকল হুথি বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনাদের সময় শেষ। আপনাদের আজ থেকেই আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। যদি তা না করেন, তাহলে আপনাদের ওপর নরক নেমে আসবে!’
ট্রাম্প হুথিদের প্রধান সমর্থক ইরানকে সতর্ক করে বলেন, তাদের অবিলম্বে এই গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয় তাহলে ‘যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করবে এবং আমরা কোনো রকম নম্রতা দেখাব না!’
হুথিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী হামলার জবাব দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।’