রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫ ।। ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ৯ রমজান ১৪৪৬


সৌদিতে বৈঠক বসবে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি শান্তি কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে বৈঠকে বসবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ওয়াশিংটন ও কিয়েভের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (৭ মার্চ) এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এ তথ্য জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতর ওভাল অফিসে আয়োজিত সেই ব্রিফিংয়ে মাইক ওয়াল্টজ বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির খসড়া প্রস্তুতের জন্য আমরা ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছি। আগামী সপ্তাহে সৌদিতে হবে সেই বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং আমি সেখানে উপস্থিত থাকব।

আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এই যুদ্ধ থামাতে হবে। ওয়াশিংটন এখন একটি শাটল কূটনীতিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে; অর্থাৎ আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার বক্তব্য শুনব তারপর উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চুক্তির নথি প্রস্তুত করা হবে।”

ওয়াল্টজ আরও জানান, রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন।

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠকের কয়েকদিন পর চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন কিয়েভকে সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা স্থগিত করে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনার কথা সামনে আসছে।

ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ নিশ্চিত করেছেন, তিনি আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে শান্তি চুক্তির কাঠামো তৈরি করবেন।

গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের বাইরে উইটকফ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখন রিয়াদ অথবা জেদ্দায় ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে একটি বৈঠকের সমন্বয়ের জন্য আলোচনা করছি। শহরটি হয়তো পরিবর্তন হবে, তবে বৈঠক সৌদি আরবে হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, একটি শান্তি চুক্তি এবং প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা আলোচনার প্রাথমিক বিষয় হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, তিনি আগামী ১০ মার্চ একদল কর্মকর্তার সঙ্গে সৌদি আরব ভ্রমণ করবেন এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে অনুষ্ঠিত উত্তপ্ত বৈঠকের পর ইউক্রেনীয় নেতাকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়। তারপর এটিই হবে মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম উচ্চ স্তরের বৈঠক। জনসমক্ষে এমন বিবাদের পর ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য এবং সহায়তা বন্ধ করে দেন ট্রাম্প। তবে গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছিলেন, জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন, যেখানে ইউক্রেনীয় নেতা বলেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ