রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


লেবাননে যেকোনো মুহূর্তে সর্বাত্মক হামলা ইসরাইলের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

হিজবুল্লাহ-ইসরাইল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে লেবানন যুদ্ধের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন ইসরাইলি বাহিনীর উত্তরাঞ্চলী কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ওরি গর্ডিন এবং অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের প্রধান মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিউক।

এক বিবৃতিতে ইসরাইলি বাহিনীর জানায়, জেনারেলরা মূল্যায়ন করে লেবাননে হামলার অপারেশনাল পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। শীর্ষ কমান্ডাররা স্থল বাহিনীকে দ্রুত প্রস্তুত করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছেন। ইসরাইল-হিজবুল্লাহ উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কার মধ্যেই ইসরাইল এই ঘোষণা দিরো।

ইসরাইল সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলার পর তারা আর তাদের সীমান্তে হিজবুল্লাহর উপস্থিতি বরদাস্ত করবে না। তারা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক সমাধান না হলে সামরিক ব্যবস্থার মাধ্যমে হিজবুল্লাহকে উত্তর দিকে ঠেলে দেয়া হবে।

এদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গেশার জাহিব উপকূলে একটি সন্দেহজনক ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো দক্ষিণ লেবাননে বেশ কয়েকটি হিজবুল্লাহ টার্গেটে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ একটি ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, হিজবুল্লাহর একটি পর্যবেক্ষণ ড্রোন হাইফা বন্দরসহ উত্তর ইসরাইলের ওপর দিয়ে ওড়ে গেছে। এই ফুটেজ কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে ইসরাইলি বাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।

ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, 'হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের বিরুদ্ধে খেলার নিয়ম পরিবর্তনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা। একটি সামগ্রিক যুদ্ধ হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করবে, লেবাননকে কঠোরভাবে আঘাত হানবে।'

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সমর্থনে ৮ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ নিয়মিতভাবে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলও পাল্টা আঘাত করে যাচ্ছে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলতি মাসে বলেছিলেন, প্রয়োজনে তাদের সামরিক বাহিনী লেবাননে তীব্র হামলা চালাতে প্রস্তুত। তিনি দেশের উত্তর সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান।

এদিকে মার্কিন বিশেষ দূত অ্যামোস হোচস্টেইন মঙ্গলবার লেবাননে পৌঁছেছেন। এর এক দিন আগে তিনি ইসরাইলি নেতাদের সাথে বৈঠক করেছন। তিনি ইসরাইল-লেবানন সীমান্তের উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, আল আরাবিয়া এবং অন্যান্য

বিনু/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ