শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

রামমন্দিরের প্রচার কাজে লাগলো না , ঝড় রুখে দিল অখিলেশ-রাহুলরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

দু’বছর আগে বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতের স্লোগান দিয়ে মেরুকরণের তাস খেলে বাজিমাত করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এ বারের লোকসভা ভোটে দেশের বৃহত্তম অঙ্গরাজ্যে (জনসংখ্যার নিরিখে) হিন্দুত্বের আবেগ উসকে দিতে বিজেপির মূল অস্ত্র ছিল, নব্বইয়ের দশকে ধূলিসাৎ করে দেওয়া বাবরি মসজিদের জমিতে গড়ে তোলা রামমন্দির।

কিন্তু সদ্য ঘোষিত ভোটের ফল বলছে, রামমন্দিরের রাজ্যেই ‘মোদি ঝড়’ রুখে দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদব এবং তার সহযোগী কংগ্রেস।

ভারতে সংসদীয় রাজনীতির অঙ্ক অনুসারে, দিল্লি দখলের পথ একটাই— ভায়া লখনো। ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রধানমন্ত্রী উপহার দিয়েছে এই রাজ্যই। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, চৌধরি চরণ সিংহ, রাজীব গান্ধী, ভিপি সিংহ, চন্দ্রশেখর— সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। অটলবিহারী বাজপেয়ী লখনো থেকে জিতেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এক দশক আগে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে পৌঁছে দিতেও এই রাজ্যের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। এ বারও তার ব্যত্যয় হয়নি।

২০১৪-সালে দেশজুড়ে পদ্মঝড়ে উত্তরপ্রদেশ কার্যত বিরোধীশূন্য হয়ে গিয়েছিল। ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টিতেই জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তার মধ্যে বিজেপি একাই ৭১টিতে। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৫টি এবং কংগ্রেস ২টি আসনে জিতেছিল। 

২০১৯-এ অবশ্য বিজেপিকে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতীর জোট। উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শত্রুতার প্রাচীর ভেঙে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ১৫টি আসন। 

গতবারের ভোটে উত্তরপ্রদেশে একা লড়ে ধরাশায়ী হয়েছিল কংগ্রেস। ৬ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিল একমাত্র রায়বরেলীতে। সনিয়া গান্ধীর আসনে। কিন্তু অমেঠির ‘গান্ধী গড়ে’ বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এবার কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন অখিলেশ। ৮০টি আসনের মধ্যে ৬২টিতে প্রার্থী দিয়ে ১৭টি ছেড়েছিলেন রাহুল-মল্লিকার্জুন খাড়গের দলকে।

উত্তরপ্রদেশে চিরাচরিত জাতপাতের অঙ্কের পাশাপাশি ভোটের প্রচারে এ বার মোদি জমানায় বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প, জাতগণনা এমনকি, যোগীর বুলডোজ়ার নীতি এবং জেল হেফাজতে বাহুবলী সংখ্যালঘু নেতা আতিক আহমেদ, মুখতার আনসারির মৃত্যুকেও নিশানা করেছিল বিরোধী শিবির। ৪০০ আসন নিয়ে মোদি ক্ষমতায় ফিরলে ওবিসি-দলিতদের সংরক্ষণে হাত পড়বে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন অখিলেশরা। 

হিন্দুত্বের আবেগ উসকে দিতে ২২ জানুয়ারি মোদি রামমন্দির উদ্বোধনের ছবি তুলে ধরেছিল বিজেপি। সঙ্গে ছিল বারাণসীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে মন্দির ‘প্রতিষ্ঠা’র প্রতিশ্রুতি। অযোধ্যার মতোই ওই দুই জমি বিতর্কও এখন আদালতে বিচারাধীন।

তবে এসব খুব বেশি কাজে দেয়নি।  উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৭টিতে জিতে একক বৃহত্তম দল হয়েছে সমাজবাদী পার্টি এসপি। সহযোগী কংগ্রেস জিতেছে ছ’টিতে। অন্য দিকে, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল জিতেছে ৩৩টি লোকসভা।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ