রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ভারতীয় মসলায় ক্ষতিকর উপাদান: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জনপ্রিয় মসলা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এমডিএইচের বেশ কিছু পণ্যে দূষণ ধরা পড়ার পর প্রতিষ্ঠানটির পণ্য নজরদারির আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর উপস্থিতি থাকার অভিযোগে ২০২১ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি করা ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ মসলা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এটা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতীয় মসলা নিয়ে এমন অভিযোগ নতুন নয়। ক্যানসারের জন্য দায়ী কীটনাশক উচ্চমাত্রায় থাকার কারণে হংকং গত মাসে এমডিএইচ ও ভারতের আরেকটি প্রতিষ্ঠান এভারেস্টের বেশ কিছু মসলা সেখানে বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

রয়টার্স বলছে, ভারতীয় এসব মসলায় ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে। এসব রাসায়নিক মানবদেহের জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং এটি দীর্ঘদিন শরীরে গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয় বলে জানানো হয়েছে। যদিও ভারতের এমডিএইচের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের পণ্য নিরাপদ এবং এসব পণ্য প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত করার কোনো পর্যায়েই ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহার করা হয় না।

তবে মসলায় এমন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পাওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে আরও কিছু দেশ তদন্ত শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া খোদ ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে তদন্ত করছে। কারণ, ভারতের এ দুটি প্রতিষ্ঠান এভারেস্ট এবং এমডিএইচের পণ্য দেশটিতে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি প্রতিষ্ঠান দুটির পণ্য বিশ্বজুড়েই রপ্তানি হয়।

মসলা রপ্তানিতে বিশ্বের অন্যতম দেশ ভারত। দেশটির বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিওন মার্কেট রিসার্চের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতের অভ্যন্তরে ২০২২ সালে মসলাজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের। আর মসলা দপ্তর জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটি ৪০০ কোটি ডলারের মসলা রপ্তানি করেছে।

ভারতের ১০০ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান এমডিএইচের পণ্য এর আগেও নিষিদ্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন বলা হয়েছিল, তাদের মসলায় সালমোনেলা নামক জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই জীবাণু গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রোগের জন্য দায়ী। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) তথ্যমতে, সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া থাকার কারণে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩ মে পর্যন্ত এমডিএইচের ৬৫টি চালানের মধ্যে ১৩টি বা ২০ শতাংশ চালান যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ