শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

জিম্মিদের ছেড়ে দিলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাস যদি নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে আজ মুক্তি দেয়, তাহলে আগামীকাল থেকেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব গাজায়। শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনের সিয়াটলে এক জনসভায় এ কথা বলেছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস যদি (আজ) সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয়, তাহলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

হামাসের অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গোটা গাজা উপত্যকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর গাজায় অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সে সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড়শ’ ফিলিস্তিনির বিপরীতে জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

বিরতির পর ফের পুর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শরু হয় হামাস ও আইডিএফের মধ্যে। এই যুদ্ধের তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েক বার চেষ্টার পরও এখন পর্যন্ত গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি আনতে সফল হতে পারেনি। তাই বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্যে কী ঘটছে, বা তাদের মধ্যে কয়জন এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন— তা এখনও অজানা।

জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে ইসরায়েলে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার তাতে কর্ণপাত না করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাফায় অভিযান শুরু করে।

এই নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে সম্প্রতি ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ পাঠানোয় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

সূত্র : এএফপি

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ