ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফাহর পূর্ব দিকে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রধান ক্রসিংটি ফিলিস্তিনের দিক থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ফিলিস্তিনিরা এখন গাজায় আটকা পড়ে গেছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক ট্যাংকগুলো রাফাহ ক্রসিংয়ে অবস্থান নিয়েছে।
সেখানের কিছু ছবিতে দেখা গেছে ক্রসিংয়ের পাশ দিয়ে ট্যাংকগুলো চলছে। এই পরিস্থিতি ধ্বংসাত্মক কারণ, রাফাহ ক্রসিং কেবল গাজায় প্রবেশ বা বের হওয়ার পথ নয়। যুদ্ধের শুরুর পর থেকেই গাজায় প্রবেশের জন্য মানবিক সহায়তার প্রধান পথ ছিল। এ ছাড়া ইসরায়েলের এই সীমিত অভিযানের সময়ে ফিলিস্তিনিরা এলাকা ছাড়তে পারবে না।
মূলত গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।
ক্রসিংয়ে অভিযানের সময় হামাস যোদ্ধা এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়েছে। পাশাপাশি একটি তীব্র বোমা হামলাও চালানো হয়েছে।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশের দখল নেওয়ার পর মিসরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
মানবিক ত্রাণ বিতরণের সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্রও নিশ্চিত করেছে গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহের চালান বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার রাফাহতে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। কারণ ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থল রাফাহ।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে তারা বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং পূর্ব রাফাহতে কাজ করা আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে অস্থায়ীভাবে এলাকা খালি করার জন্য বলেছে। কারণ এলাকায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উপকূলের আল-মাওয়াসি এলাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে তারা সেখানে ফিল্ড হাসপাতাল, তাঁবু এবং চিকিৎসা সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা আরো বলেছে, তারা পূর্ব রাফাতে অভিযান শুরু করার পর থেকে ইতিমধ্যেই হামাসের অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে এবং প্রায় ২০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
এনএ/