মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ।। ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১১ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে সিগারেট খেতে না করা সেই রিংকুকে গ্রেফতার ‘অপরাধের সাম্প্রতিক ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত শক্তির রাজনীতি ক্রিয়াশীল' একদিনে ২৯ হাজার কুরআনের কপি বিতরণ সৌদি আরবের ‘দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’ নির্মাণাধীন ভবনের কাঠ পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রুশ সেনারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার


পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের জান্তা সরকার দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার পরপরই দেশটির একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রুশ সেনারা। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।

নাইজারের জান্তা সরকার মার্চ মাসে ওয়াশিংটনকে বলেছিল দেশটিতে অবস্থানরত প্রায় ১ হাজার মার্কিন সেনাকে অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে। এরপরই এখানে রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

গত বছরের জুলাইয়ে সামরিক অভ্যুত্থান হয় নাইজারে। তার আগ পর্যন্ত আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আইএসআইএল (আইএসআইএস) গোষ্ঠী ও আল-কায়েদার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মার্কিন লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল নাইজার। বর্তমানে অঞ্চলটি মারাত্মক সহিংসতার মধ্যে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স  জানিয়েছে, নাইজারের রাজধানী নিয়ামে ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত ‘এয়ারবেস ১০১’ নামের বিমান ঘাঁটিতে রুশ সেনাদের উপস্থিতি থাকলেও মুখোমুখি কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি।

তবে নাইজারের ঘাঁটিতে মার্কিন ও রুশ সেনাদের উপস্থিতিকে ভিন্ন চোখে দেখছেন বিশ্লেষকরা। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বর্তমানে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে।

একজন সাংবাদিক বিমানঘাঁটি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন শুক্রবার বলেন, রুশ সেনাদের কাছে মার্কিন সেনা বা সরঞ্জামের অ্যাক্সেস না থাকায় তিনি উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা দেখেননি।

গত বছর অভ্যুত্থানের পর মার্কিন সামরিক বাহিনী নাইজারে তার কিছু বাহিনীকে এয়ারবেস ১০১ থেকে আগাদেজ শহরের এয়ারবেস ২০১-এ সরিয়ে নিয়েছিল। এয়ারবেস ১০১-এ মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কী ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

ওয়াশিংটন মধ্য নাইজারে ১০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয়ে এয়ারবেস ২০১ তৈরি করেছে। ২০১৮ সাল থেকে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে আইএসআইএল ও আল-কায়েদার সহযোগী জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে নাইজার ও যুক্তরাষ্ট্র।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ