বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ।। ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
লাখো রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই ‘শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার’ বাংলাদেশী রেমিটেন্সযোদ্ধাদের সম্মানে কাতার সরকারের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার

গাজা শাসনের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইসরায়েলকে যে হুঁশিয়ারি দিল হামাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল নয়, ফিলিস্তিনিরাই করবে গাজা শাসন। গাজা প্রশাসনের জন্য একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া। 

শনিবার তুরস্কে আনাদোলুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আলজাজিরার।

ইসমাইল হানিয়া বলেন, হামাস গাজায় একমাত্র কর্তৃত্বের ওপর জোর দিচ্ছে না। আমরা ফিলিস্তিনের অংশ। আমরা সবাই মিলে একটি জাতীয় ঐক্য সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি এবং গাজার প্রশাসনের বিষয়ে একমত হতে পারি।

হামাসপ্রধান বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের গাজা, পশ্চিমতীর এবং ফিলিস্তিনের যে কোনো ভূখণ্ড যেই পরিস্থিতি হোক না কেন দখলদার বা অন্য কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে দেব না।

তিনি বলেন, হামাস ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রথমটি হচ্ছে— প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) পুনর্গঠন করব, যা সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে। 

দ্বিতীয়টি হচ্ছে— একটি জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা, যারা গাজার পুনর্গঠন করবে। পশ্চিম তীর এবং গাজাবাসীকে এক ছাদের নিচে একীভূত করবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি, আইনসভা এবং জাতীয় কাউন্সিল নির্বাচনের আয়োজন নিশ্চিত করবে।

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করে আসছে হামাস। গত ৭ অক্টোবরের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাসকে ক্ষমতাচ্যুত ও ধ্বংস করার কথা বলে আসছে ইসরাইল।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এ হামলায় প্রায় এক হাজার ১৪০ জন নিহত হন। সেদিন প্রায় ২৪০ জনকে ইসরাইল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে হামাস।

জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশি নারী ও শিশু। এই ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ