শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জার্মানিতে রোজার সম্মানে রাস্তায় আলোকসজ্জা, দিতে চায় ঐক্যের বার্তা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের একটি পরিচিত রাস্তা এবার রোজার পুরোটা সময় অর্ধচন্দ্র, তারা, বাতিসহ অনেককিছু দিয়ে সাজানো থাকবে। এর মাধ্যমে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চায় শহর কর্তৃপক্ষ।

শহরের ‘গ্রোসে বকেনহাইমার স্ট্রাসে’ সড়কে আলোকসজ্জা করা হবে। এই রাস্তা শুধু পথচারীরা ব্যবহার করেন। রাস্তার দু’পাশে অনেক হোটেল ও রেস্তোরাঁ থাকার কারণে এটি ‘ফ্রেসগাস’ বা খাবার সড়ক নামেও পরিচিত।

সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিলিম আরসলানার বলেন,‘রোজা এমন একটা সময় যখন মানুষ জীবনে সত্যিই কী গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝার চেষ্টা করে। খাওয়ার জন্য কিছু থাকা, মাথার উপর একটি ছাদ এবং পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য।

ফ্রাঙ্কফুর্টের মেয়র নারগেস এস্কান্দারি-গ্র্যুনব্যার্গ বলেন, যুদ্ধ ও সংকটের সময় শান্তি এবং ঐক্যের বার্তা দেওয়া আরও জরুরি। রোজার সময় সড়কে যে আলো জ্বালানো হবে ‘সেগুলো হলো ঐক্যের আলো, কুসংস্কার, বৈষম্য, মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ এবং ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধেও।

জার্মানির পঞ্চম বৃহত্তম শহর ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রায় আট লাখ মানুষ বাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ বাসিন্দা (এক থেকে দেড় লাখ) মুসলিম।

ফ্রাঙ্কফুর্টের মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতা মোহামেদ সেদ্দাদি শহর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা ‘মুসলমানদের জন্য অনেক অর্থবহ।’

আলোকসজ্জার জন্য শহর কর্তৃপক্ষের ৭৫ হাজার ইউরো খরচ হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র এস্কান্দারি-গ্র্যুনব্যার্গ।

জার্মান সংসদের বর্তমান বিরোধী দল খ্রিষ্টীয় গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন, সিডিইউর ফ্রাঙ্কফুর্টের প্রতিনিধি ইয়ানিক শভান্ডার বলেন, ক্রিসমাসের সময় ফ্রাঙ্কফুর্টে যে আলোকসজ্জা করা হয় তার খরচ বাণিজ্য সংগঠন ও দান থেকে আসে। আলোকসজ্জার জন্য শহর কর্তৃপক্ষের অর্থ বরাদ্দ শুধু একটি ধর্মের জন্য থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি।

তবে মেয়র বলছেন, ক্রিসমাসের সময় শহর কর্তৃপক্ষ ব্যবসা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে আরও অনেক বেশি অর্থ খরচ করে থাকে। সূত্র : ডয়চে ভেলে

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ