শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

উত্তর গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিলো বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

টানা সাড়ে চার মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে তীব্র মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে, মাথা গুঁজেছন, অস্থায়ী তাবু ও স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে ।

তাদের জন্যে অন্তত বাঁচার মতো খাদ্য সরবরাহের খুব বেশি প্রয়োজন; অথচ তাও বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। মূলত ভূখণ্ডটিতে ব্যাপক বিশঙ্খলার কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘লাইভ-সেভিং’ খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, ব্যাপক বিশৃঙ্খলার কারণে তাদের সহায়তা কনভয়গুলো সম্পূর্ণরূপে বিপর্যয় এবং সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, এই সিদ্ধান্তটি সহজভাবে নেওয়া হয়নি। তাদের সদস্যরা ব্যাপক ভিড়, বন্দুকযুদ্ধ এবং লুটপাটের সম্মুখীনও হয়েছেন।

এছাড়া জাতিসংঘ গত বছরের ডিসেম্বর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা বলে আসছে। ডব্লিউএফপি বলেছে, সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোতে এই ভূখণ্ডে ক্ষুধা ও রোগের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ রয়েছে।

বিবিসি বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত বছরের অক্টোবরে স্থল আক্রমণের শুরুতে ১১ লাখ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে উত্তরাঞ্চলীয় ওয়াদি গাজার সমস্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে দক্ষিণে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেয়। যেসব এলাকা থেকে সেসময় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে গাজা শহরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই শহরটি ছিল যুদ্ধের আগে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।

বেশিরভাগ বাসিন্দাই সেসময় ইসরায়েলি আদেশ অনুসরণ করে, কিন্তু কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি এই এলাকাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নেয়, যাদের অনেকেই আবার পালিয়ে যেতে সক্ষম ছিল না। পরে ইসরায়েলি সৈন্যরা এই অঞ্চলটিকে ঘেরাও করে ।

গত মাসে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, অন্তত ৩ লাখ মানুষ এখনও উত্তর গাজায় রয়েছেন যারা বেঁচে থাকার জন্য তাদের সহায়তার ওপর নির্ভর করছেন।

মূলত তীব্র সংঘাতের কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ হয়ে থাকে খুবই কম। এছাড়াও অল্প পরিমাণে যে সহায়তা বিতরণ হয় সেটিও আবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়পত্রের ওপর নির্ভরশীল।

এই সপ্তাহান্তে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গাজার এই অঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী সহায়তা সরবরাহের আশা করেছিল। প্রতিদিন এখানে সহায়তা-ভর্তি ১০টি লরিও পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল তারা। কিন্তু রোববার সংস্থাটির একটি কনভয়কে উত্তরের ওয়াদি গাজা চেকপয়েন্টের কাছে ক্ষুধার্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘিরে ধরে এবং লোকেরা গাড়িতে আরোহণের একাধিক প্রচেষ্টা চালায়। এরপর গাজা শহরে প্রবেশ করার সময়ও গোলাগুলির মুখোমুখি হয় কনভয়।

এছাড়াও, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং দেইর আল-বালাহ শহরের মধ্যবর্তী স্থানে বেশ কয়েকটি সহায়তাবাহী লরি লুট করা হয়েছে এবং একজন চালককে মারধর করা হয়েছে। ডব্লিউএফপি বলেছে, গত দুই দিনে তাদের দল গাজা উপত্যকায় অভূতপূর্ব মাত্রার হতাশার সাক্ষী হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ‘খাদ্য এবং নিরাপদ পানি অবিশ্বাস্যভাবে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে এবং সেখানে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। নারী ও শিশুদের পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ফলে অঞ্চলটিতে তীব্র অপুষ্টি বেড়েছে। মানুষ ইতোমধ্যেই ক্ষুধাজনিত কারণে মারা যাচ্ছে।’

জেএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ