শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা বসবাসের অযোগ্য : জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের চলমান ভয়াবহ আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ‘বসবাসের অযোগ্য’ হয়ে পড়েছে বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। 

বিশ্ব সংস্থাটি বলেছে, ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এতটা বেশে যে এই উপত্যকাকে আবার বাসযোগ্য করতে হাজার হাজার কোটি ডলার অর্থ এবং কয়েক দশক সময় লাগবে।

জাতিসংঘের ‘কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ সংস্থা বা আঙ্কটাড বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রায় চার মাস আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের গণহত্যা অভিযানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে আঙ্কটাড।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার শতকরা ৮৫ ভাগ অধিবাসী তাদের সহায় সম্বল হারিয়েছে এবং উপত্যকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছ। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই উপত্যকার দারিদ্র ও বেকারত্ব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে বেকারত্বের হার ৭৯.৩ শতাংশে পৌঁছেছে এবং জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত উপত্যকার ৩৭ হাজার ৩৭৯টি ভবন আংশিক বা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শিশু। তাদের মাথা গোঁজার ঠাই এখন নেই বললেই চলে। মানুষের কোনো আয়ের উৎস নেই এবং তাদের খাবার, পানি, পয়োঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। 

আঙ্কটাডের প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে যুদ্ধ-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে কয়েক দশক সময় লাগবে এবং তাও নির্ভর করছে পুরোপুরি বিদেশি সাহায্যের ওপর। 

সূত্র : ব্যারনস।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ