শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ নেই: জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রতীকী ছবি

মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের অনুকূলে নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এছাড়া, মর্যাদার সাথে নিরাপদে ফেরার মত পরিবেশও তৈরি হয়নি দেশটিতে- এমন অভিমত পোষণ করল জাতিসংঘ। 

২২ জানুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সংবাদদাতা জানতে চেয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বিগ্ন গোটাবিশ্ব।

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা প্রায় ৭ বছর যাবত বাংলাদেশের কক্সবাজার শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে। নিজ ব্সতভিটায় ফিরতে না পারার হতাশা ও ক্ষোভে শরণার্থী শিবিরের অনেকে ক্রমান্বয়ে হিংস্র হয়ে উঠছে।

এ অবস্থা দীর্ঘতর হলে তা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণও কমানো হয়েছে। এমন একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনও পরিকল্পনা আছে কি?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, মর্যাদা সমুন্নত থাকে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত রয়েছে-এমন পরিবেশ বিরাজ করলেই কেবলমাত্র রোহিঙ্গা শরণার্থীরা স্বেচ্ছায় নিজ বসতভিটায় ফিরতে পারবে। এর আগে কোনও শরণার্থীকেই মিয়ানমারে ফিরে যাবার কথা বলা সঙ্গত হবে না।

তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অবলম্বন করাও সমীচিন নয়। আর এটা তো পরিষ্কার যে, মিয়ানমারে বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ নেই। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যারা আশ্রয় দিয়েছে, উদারতা প্রদর্শন করেছে শরণার্থীদের আতিথেয়তায়, সেই কক্সবাজার এলাকার মানুষের সাথে আমাদের সকলের অর্থাৎ মানিবিকতাসম্পন্ন বিশ্বের সংহতি প্রকাশ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন। সে এলাকার মানুষের মহানুভবতা প্রত্যক্ষ করেছেন। ডুজারিক উল্লেখ করেন, শরণার্থীদের জন্য তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো দরকার। এটা খুবই জরুরি।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ