শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

ইসরায়েলি সামরিক ব্যবস্থা দ্রুত ভেঙে পড়ায় কিছু ত্রুটি হয়েছে: হামাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর হামলায় ‘ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থা দ্রুত ভেঙে পড়ে। এ কারণে গাজার সীমান্ত এলাকায় বিশৃঙ্খলার কারণে কিছু ত্রুটি ঘটেছে’। বিভ্রান্তির কারণে  অনেক ইসরায়েলি তাদের পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে।

রবিবার ‘আওয়ার ন্যারেটিভ’ শিরোনামে ১৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হামাস। সেখানে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর তারা ইসরায়েল সেনাবাহিনী এবং বন্দুকধারী ছাড়া কাউকে লক্ষ্যবস্তু বানায়নি।

খবর অনুসারে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর এই প্রথম জনসম্মুখে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হামাস। এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হামলা চালানো বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে ইতিহাসের স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। যাদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।

হামলার পর গত বছরের নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। ওই সময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী শতাধিক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ১০০ জিম্মিদের মুক্তি দেয় হামাস। তখন ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, হামাস হামলার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ করেছে। এছাড়া জিম্মিদের নির্যাতনের পাশাপাশি ধর্ষণও করেছে। তবে হামাস ইসরায়েলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে টার্গেট করার পাশাপাশি সৈন্যদের আটক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কারণ, এর মাধ্যমে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মুক্তিতে তেল আবিবকে চাপ দেয়া যাবে। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড জানায়, হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত ছিল আমাদের ধর্মীয় এবং নৈতিক দায়িত্ব। ওই হামলায় যদি কোনো বেসামরিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে সেটা অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছে।

হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। অন্যদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় ইসরায়েল যেভাবে মানুষ হত্যা করছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

প্রতিবেদনে ‘গাজার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন, সমগ্র গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল করার প্রক্রিয়া’ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। তারা বলেছে, গাজার যুদ্ধোত্তর ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য তারা আন্তর্জাতিক এবং ইসরায়েলের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করে।

হামাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমরা জোর দিচ্ছি যে, ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো গুছিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বিশ্বের কোনো পক্ষেরই তাদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। সূত্র: এনডিটিভি

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ