শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানি ৫৩০০ ছাড়াল, নিখোঁজ ১০ হাজার


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ডেনিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণহানি ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ১০ হাজার। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। এসব এলাকায় বন্যার তীব্রতা এখনো বাড়ছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 


ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির লিবিয়া প্রতিনিধি তামের রামাদান সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেন, অন্তত ১০ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। এ সময় তিনি বন্যায় নিহত মানুষের সংখ্যা না জানালেও বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।’ 


লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, আনুমানিক ৫ হাজার ৩০০ লোক প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৪৫ জন মিসরীয় নাগরিক বলে জানিয়েছে লিবিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর তবরুকের কর্তৃপক্ষ। 
 
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আব্দুলজলিল দেশটির আলমাসার টিভিকে বলেছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ ‘বিপর্যয়কর’। পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেরনা সফরকালে তিনি জানান, বিধ্বস্ত এই শহরের অন্তত ৬ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো শহরটি স্রেফ পানির তোড়ে ভেসে গেছে। 

ঘূর্ণিঝড় ডেনিয়েলের কারণে লিবিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের অধিকাংশ শহরই বিধ্বস্ত হয়েছে। শহররক্ষা বাঁধ, রাস্তাঘাট, বাড়িঘরসহ অধিকাংশ স্থাপনাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় শহর দেরনা। শহরটিতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব এতটাই বেশি ছিল যে, ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পরপরই সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করা সম্ভব হয়নি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দেশটির বেনগাজি, সোসি, আল-বায়দা, আল-মারজ ও দেরনা শহরে ঘূর্ণিঝড় ডেনিয়েলের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় তলিয়ে যাওয়া গাড়ির ছাদে অনেক মানুষ আটকা পড়েছে। সোমবার টেলিফোনে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেরনা শহরের বাসিন্দা আহমেদ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, ঘুম ভাঙার পর দেখতে পাই বাড়িতে পানি। আমরা ঘরের ভেতরে রয়েছি এবং বের হওয়ার চেষ্টা করছি।’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ