গতকাল কুমিল্লা লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও চাঁদপুর শাহরাস্তি অঞ্চলের বন্যার্ত ইমাম-খতীব, শিক্ষক ও জন সাধারণের মাঝে ভারী খাবার ও নগদ টাকা উপহার বিতরণ করেছে জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশ।
জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি আ ফ আ.ফ.ম আকরাম হুসাইন এর নেতৃত্বে গতকাল ৪ আগস্ট বিকালে উক্ত উপহার তুলে দেয়া হয়েছে। উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবু সুফিয়ান মোমেনী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ শুয়াইব, ঢাকা জেলা সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা কামাল উদ্দীন নোমানী, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহমান ফরিদাবাদী, মুফতি আবু বকর সিদ্দীক, মাওলানা সুলাইমান, হাফেজ ফেরদাউস ও জনাব মোঃ রমজান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। তাছাড়া গত ২ আগস্ট খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার দেলুটিয়া ইউনিয়নের বন্যার্ত মানুষের মাঝে জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়ার নেতৃত্বে ইমাম পরিষদ খুলনা জেলা দায়িত্বশীলগণ এসব উপহার বিতরণে অংশ নিয়েছেন।
জাতীয় ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া জানান, কয়েক পর্বে একাধিক টিমে ৫ সহস্রাধিক মানুষের মাঝে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ত্রাণ ও নগদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে ইমাম পরিষদ। গতকাল কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও চাদপুরের শাহরাস্তি উলাশ্বর এলাকায় ত্রাণ ও নগদ উপহার বিতরণ শেষে সংগঠনের মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন জানান, আমরা ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে সেসব অঞ্চলকে প্রাধান্য দিচ্ছি, যেখানে সাধারণত ত্রাণ পৌঁছায় না। দুর্গত মানুষের মাঝে চাউল, ডাউল, তেল, লবন, চিনি, চিড়া, মুরি, বিস্কুট, স্যালাইন, ঔষধ, শিশুদের পোষাক, প্যাম্পাস, শিশুখাদ্য ও শাড়ী, লুঙ্গি বিতরণ করেছি আমরা। তাছাড়া বন্যার শুরু থেকেই স্পিড বোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে দুর্গম অঞ্চলে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে আমাদের কর্মীরা। ত্রাণ কার্যক্রমের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা ত্রাণ ও পুনর্বাসন উভয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চলমান আছে। পাশাপাশি আমরা পুনর্বাসনের কাজও চলমান রাখবো ইনশাআল্লাহ।
ইমাম পরিষদের ত্রাণ ফাণ্ডে শরীক হতে চাইলে 01616658686 নাম্বারে বিকাশ, নগদের মাধ্যমে অনুদান পাঠিয়ে হোয়াটসআ্যাপে মেসেজ দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
হাআমা/