স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত দেশের ১১ জেলা। পানিবন্দী হয়ে আছে অন্তত ৫৮ লাখ মানুষ। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের আপামর জনসাধারণ। অন্যান্য দুর্যোগের মতো এবারও সবার আগে প্লাবিত অঞ্চলে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যায় হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম খলিল জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ফেণী জেলাশহর, পরশুরাম ও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার নাতেরপেটুয়া ইউনিয়নে অন্তত ২৫ হাজার মানুষের কাছে শুকনো খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস যেমন শিশুখাদ্য, মোমবাতি, লাইটার, টিস্যু, ন্যাপকিন ও বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে সংস্থাটি।
নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘমেয়াদী ও সার্বজনীন সেবা প্রদানের সুবিধার্থে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রে আমাদের বন্যাকালীন অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছি। সেখানে আমাদের ত্রাণগুলো জমা করছি এবং সেখান থেকে থেকে আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়ে ফ্রান্স সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।
জানা যায় সংস্থাটি তাদের সাথে অভিজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে অন্যতম খিদমাহ হসপিটালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান ও হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ডা. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় পানিবন্দি মানুষের সাধারণত যে সমস্ত রোগ এখন হতে পারে সবগুলোরই ওষুধ আমরা বিতরণ করছি । সাথে সাথে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগীদের জন্য ইনহেলারেরও ব্যবস্থা রেখেছি।
প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহসিন বিন মুঈন জানান,অব্যহত এ কার্যক্রমে আমরা ৫০ ফুটের লম্বা একটি ট্রলার ও মাঝারি নৌকা ঢাকা থেকেই নিয়েছি। ত্রাণ বেশি হওয়ায় মাইলের পর মাইল আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা হেঁটে, সাঁতরে নৌকা টেনে নিয়ে দূর্গম এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছি।
হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের আরো দুটি টিম আগামীকাল ফেনীর দাগনভূঞা ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বানভাসীদের মাঝে রান্না করা খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবে।
উল্লেখ্য যে 'হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ' সরকারের নিবন্ধন প্রাপ্ত এবং সর্ব মহলে সমাদৃত একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক সেবা সংস্থা। যার সরকারী রেজিস্ট্রেশন নং S138779/22। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সংস্থাটি তার প্রতিটি কাজের হিসাব ও অডিট রিপোর্ট স্বচ্ছতার জন্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে।
কেএল/