দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম বৃহৎ ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া (পটিয়া মাদরাসা) দেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে মাদরাসার সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে সেবা সপ্তাহ ঘোষণা করেছে।
গত ২৬ ও ২৭ আগস্ট মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আবু তাহের কাসেমী নদভীর নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বন্যা দূর্গত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণ করেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের আহবানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বন্যার্তদের জন্য।
আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান জামিয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলসহ বন্যা দূর্গত অঞ্চলে ছুটে গিয়ে আর্তমানবতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ফেনির দাগন ভূঁঞা, শর্শদী, লালপোল ও মিরসরাইসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে জামিয়া পরিচালিত ‘ইসলামী ত্রাণ কমিটি বাংলাদেশে’র পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
এসময় জামিয়া প্রধান বলেন, পানি চলে গেলে মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও দুর্দশা আরো বেড়ে যাবে । মাথা গোঁচার জন্য ছাদ নেই, থাকার ঘর অবশিষ্ট নেই । তাই দূর্গত মানুষের পূণর্বাসনের জন্য কাজ করতে আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। দ্রুত ‘পুনর্বাসন তহবিল’ গঠন করে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে ।
এ সময় জামিয়া প্রধানের সাথে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার শিক্ষক মুফতি মঞ্জুর সিদ্দিক, মাওলানা সেলিম উদ্দিন মাহদী,মাওলানা নুরুল আবছার,মাওলানা হাফেজ মাসুম, মৌলানা জোবায়ের হানিফ, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা মিজানুর রহমান। জামিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা সহ স্থানীয় প্রতিনিধির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুফতি ইউসুফ কাসেমী,মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা ইসমাইল, মাওলানা কাশেম সহ নেতৃত্বস্থানীয় আলেম সমাজ।
কেএল/