ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, বিপদের সময়ে ধৈর্য্য ধারণ করা মোমেনের চরিত্র। অস্থির হলে চলবে না তাই ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর ভারত থেকে আসা পানি আমাদেরকে তলিয়ে দেয়। এর স্থায়ী সমাধান করা দরকার। এজন্য প্রয়োজনে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বাদ দিতে যা করার দরকার দেশের মানুষ তা করতে প্রস্তত আছে। বাংলাদেশের জনগন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজেদের অর্থ দিয়ে শক্তিশালী বাঁধ দেয়া হলে আগ্রাসী ভারত আর কখনো তলিয়ে দিতে পারবে না। বাঁধ দেয়া হলে কখনো ভারতের সামনে আমাদের মাথা নত করতে হবে না। বরং ভারত আমাদের কাছে মাথানত করতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, এই মসিবতের থেকে বাঁচতে আল্লাহর দরবারে আমাদেরকে বেশী বেশী দুআ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) সকাল ১০.৩০ এ লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১০.৫০ এ লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বেলা ১১ টায় লাকসামের দক্ষিণ বাইপাশ এলাকার নূর মোটরস এর অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে হাদিয়া বিতরণ, বেলা সাড়ে ১১ টায় সোনাইমুড়ী আলিয়া মাদরাসা আশ্রয়কেন্দ্র, দুপুর ১ ঘটিকায় নোয়াখালী সেনবাগের কানকির হাট বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও হাদিয়া বিতরণ, দুপুর ২ টায় সেনবাগ উপজেলা গেট এর মারকাজুল ওহি ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার সামনে বন্যাদুর্গতদের খোঁজ খবর নিয়ে হাদিয়া বিতরন, ফেনীর ছাগলনাইয়া নিশ্চিন্তপুর, ছাগলনাইয়া জিরোপয়েন্ট ও চৌদ্দগ্রাম চিওড়া এলাকায় বন্যাদুর্গতদের বর্তমান পরিস্থিতি পরিদর্শন করে হাদিয়া বিতরণ করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম, মাওলানা খলিলুর রহমান, আল মোহাম্মদ ইকবাল, আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ, ছাত্র নেতা মুনাতাসির আহমদ ও শ্রমিক নেতা মুফতী মোস্তফা কামাল, শহিদুল ইসলাম কবির প্রমূখ।
কেএল/